মামলা স্থানান্তর নিয়ে সওয়াল সলিসিটর জেনারেলের, জবাব সিংভির

বাঁ দিকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি, ডানদিকে তুষার মেহেতা

বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে ভার্চুয়াল শুনানিতে মেহেতা বলেন, “১৭ তারিখের ঘটনা দুঃখজনক। সেই কারনেই আমরা মামলায় সরিয়ে নিতে চাই। অভিযুক্তদের ‘রি-কল’ পিটিশন শোনার আগে ১৭ তারিখের পরিস্থিতি জানতে হবে৷
(বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে) সেদিনের পরিস্থিতি আপনাদের বিবেচনা করতেই হবে। ওই পরিস্থিতি ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি’ ছিলো৷ দল বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী আরও লোকজন নিয়ে CBI দফতরে ঢুকে যান। বলেন আমাকে গ্রেফতার করুন। এমনকি ধর্নাতেও বসে যান। এটা নজিরবিহীন৷”

এই সময় ফিরহাদ-সুব্রত’র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “অনেক মামলাতেই এমন বিক্ষোভ হয়।জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জড়িত ঘটনায় বা মামলায় মানুষের ক্ষোভ থাকেই। তবে এটা ঠিক এ ধরনের বিক্ষোভ দেখানো উচিত নয়। তবে এই বিক্ষোভকে যে ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে তা-ও ঠিক নয়, বললেন সিঙ্ঘভি।” তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে এই মামলা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত এই মামলায় কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আজ এত তৎপরতা কেন ?

আরও পড়ুন-হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি: কোভিডে কি জেল খুব জরুরি ছিল? প্রশ্ন বিচারপতির

উত্তরে তুষার মেহেতা বলেন, দল বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী আরও লোকজন নিয়ে সিবিআই দফতরে ঢুকে যান। তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানান। ধর্নাতেও বসেন। এটা নজিরবিহীন৷ এটা সাধারণ মামলা নয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসছেন। এটা কেমন করে হতে পারে? এরপর থেকে সাধারণ গ্রেফতারেও তো এটাই ট্রেন্ড হয়ে যাবে। সেদিনের বিশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল। নিজামে প্রচুর মানুষ এসে ভিড় করেছিলেন। অফিসারদের পক্ষে তাই বাইরে আসা সম্ভব হয়নি। বেআইনি ভাবে ভিড় করে বিক্ষোভ দেখানো উন্মত্ত জনতাকে সামলানোও সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়েই অভিযুক্তদের ওখানে রাখা হয়। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের সুযোগ দেওয়া হোক।

মেহেতা বলেন, প্রভাবশালী নেতাদের সুবিধা দিতে আইনের ক্ষতি করা হয়েছে৷ গ্রেফতার হওয়া ৪ প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীর প্রভাব এতটাই বেশি যে, তাঁদের যাতে সশরীরে হাজিরা না দিতে হয়, তার আর্জি করেন আইনজীবীরা। ভার্চুয়ালি হাজিরা দেওয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়। আইনমন্ত্রী নিজে আদালতে যান। এমন নজির আগে কোথাও দেখা যায়নি। এতে আইন ও বিচারব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেদিন
কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। CBI-এর বিচারককে এই পরিস্থিতিতে জামিনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।

Advt

Previous articleএবার করোনা পরীক্ষার নির্ভুল রিপোর্ট মাত্র 2 ঘন্টায়
Next article‘দৃপ্ত ভঙ্গিতে ফিরে আসুন’, বুদ্ধবাবুর সুস্থতা চেয়ে প্রার্থনা শ্রীলেখা-জিতু-অনীকদের