কেন্দ্র দিচ্ছেনা, ধনকড় নীরব, মমতার উদ্যোগে রাজ্যের টাকায় কেনা টিকা আজ আসছে শহরে

রাজ্যবাসীর প্রতি কতখানি দায়বদ্ধ জগদীপ ধনকড় ?

যে লোকটি কথায় কথায় হুমকি দেন, ‘আমি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান’, বাংলার ‘করোনা-যুদ্ধে’ সেই লোকটির ভূমিকা কী ? সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য যখন মরিয়া হয়ে কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিন-এর জন্য দরবার করছে, ঠিক সেই সময় বিজেপির ‘নিষ্ঠাবান’ কর্মীর ভূমিকা পালন করা ছাড়া এখনও পর্যন্ত কিছুই করেননি ধনকড়৷

বিজেপি’র বিকাশে মরিয়া ধনকড় এখনও পর্যন্ত একবারও কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের জন্য অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, কোভিডের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য দরবার করেননি৷ অথচ এ সবই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ৷ রাজ্যের মানুষ যখন ভ্যাকসিনের অভাবে ছটফট করছেন, তখন তিনি ব্যস্ত রাজ্যের মন্ত্রীদের জেলে পাঠানোর কাজে৷ কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে বাংলার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব রাজ্যপালের নেই ?
যে রাজ্যপাল ভয়াবহ এই সংক্রমণ কালেও রাজ্যের মানুষের কথা ভাবেন না, সেই রাজ্যপালকে অত বড় বাড়িতে পুষে লাভ কী ?

ওদিকে নীরবে কাজ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভ্যাকসিন চেয়ে বারবার দিল্লিতে চিঠি দিয়েছেন তিনি৷ সাড়া দেননি মোদি৷ তবুও করোনা-যুদ্ধে রাজ্যের স্বার্থে, রাজ্যবাসীর স্বার্থে তাঁর কাজ চলছে৷

আজ বুধবার,পুণে থেকে মোট ২ লক্ষ ১২ হাজার ৪৬০ টি ডোজ ভ্যাকসিন আসছে রাজ্যে৷ না, কেন্দ্র এই ভ্যাকসিন বরাদ্দ করেনি৷ কেউ জানতেও পারেনি বাংলার মানুষের জন্য এই ভ্যাকসিন টাকা দিয়ে কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
অগ্রিম টাকা দিয়েছিল রাজ্য, তাই প্রস্তুতকারক সংস্থা, সেরাম এই কোভিশিল্ড পাঠাচ্ছে রাজ্যে৷ উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর।

গত ১ মে থেকে সরাসরি রাজ্য সরকারগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে টিকা কেনার। এর ফলে নির্মাণকারী সংস্থার থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিতে পারবে রাজ্য। সেরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে তারা প্রতি ডোজ ১৫০ টাকায় বিক্রি করবে। রাজ্য সরকারের জন্য এই ভ্যাকসিনের দাম ৩০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবি তুলেছেন কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র খারিজ করেছে৷ তাই ভ্যাকসিন কেনার জন্য রাজ্যের তরফে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছিল সেরামকে। রাজ্য সরকারের নিজের টাকায় কেনা ভ্যাকসিন আজ আসছে।

সূত্রের খবর, পুণে থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সকালেই কলকাতা আসবে এই ভ্যাকসিন। রাখা হবে বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরে। সেখান থেকে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:প্রয়োজন ছিল ২ কোটি, কোভিশিল্ড এলো মাত্র ২ লক্ষ

Advt

Previous articleপ্রয়োজন ছিল ২ কোটি, কোভিশিল্ড এলো মাত্র ২ লক্ষ
Next article২৯ মে টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে বিশেষ সাধারণ সভা বিসিসিআইয়ের