হাইকোর্টের হঠাৎ নোটিশ, আজ নারদ-শুনানি স্থগিত, অন্য ‘গন্ধ’ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল

ফের বিতর্ক ! এই ঘটনায় অন্য ‘গন্ধ’ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল৷

আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এজলাসে বেলা ২টো থেকে ফের নারদ-মামলার ভার্চুয়াল শুনানি হওয়ার কথা ছিলো৷

কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে ওয়েবসাইটে কিছুক্ষণ আগে দেখা গিয়ে একটি নোটিশ, যাতে লেখা আছে, “Due to unaviodable circumstances, the First Division Bench will not assemble today”, অনিবার্য কারনবশত আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বসবে না৷
শুনানি না হওয়ার অর্থ, বৃহস্পতিবারও জেল হেফাজতে থাকতে হবে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে৷

সাম্প্রতিক রাজনীতিতে তোলপাড় হওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি এই নারদ-মামলার শুনানি এভাবে হঠাৎ স্থগিত রাখার পিছনে ‘অন্য’ কারনের কথা ভেসে উঠেছে ইতিমধ্যেই ৷ ওদিকে, আইনি মহলের বক্তব্য, প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ এদিন কোনও কারনে না বসলে জরুরি এই মামলাটি অন্য কোনও এজলাসে পাঠানো উচিত ছিলো৷ এভাবে খেয়ালখুশি মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়না৷ রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী জামিন পেয়েও হাইকোর্টের একতরফা সিদ্ধান্তে মুক্তি পাচ্ছেন না৷ বিষয়টি গুরুতর৷ সিরিয়াস এই মামলা নিয়ে এত হালকাভাবে জানানো যায়না যে আজ এজলাস বসবে না ৷

এদিকে রাজনৈতিক মহল ফেটে পড়েছে ক্ষোভে৷ শাসক দলই শুধু নয়, বিজেপি-বিরোধী প্রায় সর দলই এ ধরনের ঘটনার পিছনে বিজেপি তথা কেন্দ্রের ‘নোংরা’ রাজনীতির অভিযোগ এনেছে৷ বলা হচ্ছে, আইনি লড়াইয়ে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই CBI তথা কেন্দ্র প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করেছে৷ এর ফলে, আরও একদিন জেল হেফাজতেই থাকতে হবে চার অসুস্থ নেতা-মন্ত্রীকে৷ কোভিড-আবহে চারজনের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তার দায় নিতে হবে CBI এবং কেন্দ্রকেই৷

ওদিকে, চার নেতা-মন্ত্রীর তরফে এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করার জন্য৷ আইনি মহল বলছে, এই মুহুর্তে ৪ অভিযুক্তের হাতে দু’টি পথ রয়েছে৷
এক) যেহেতু মামলাটি প্রধান বিচারপতির এজলাশে চলছে এবং প্রধান বিচারপতি নিজেই গরহাজির, তাই অভিযুক্তদের তরফে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জরুরিভিত্তিক শুনানির আবেদন জানাতে পারেন৷ রেজিস্ট্রার ওই আবেদন পাঠাবে প্রধান বিচারপতি কাছে৷ তিনি যদি মনে করেন, মামলার শুনানি জরুরি, তাহলে অন্য কোনও বেঞ্চে পাঠাতে পারেন আজই শুনানির জন্য৷
দুই) অভিযুক্তরা আজই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন গোটা পরিস্থিতির ব্যাখ্যা নিয়ে৷ সেক্ষেত্রে শারীরিক কারনে শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে মামলার পরবর্তী শুনানি চালানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠাতে পারে৷ তেমন হলে আজ অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তির সম্ভাবনা থাকছে৷

Advt

Previous article‘পুলিশ হেফাজতে’ তরুণের মৃত্যু, পোলবায় উত্তেজনা
Next article‘মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে একটি কথাও বলতে দেওয়া হয়নি’, মোদির বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা