ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর সতর্কতায় চলছে মাইকিং, তৎপর প্রশাসন

যশ ( cyclone Yash) আসছেই। তবে তার শক্তি এবং তাণ্ডবের প্রাবল্য কতটা সে ব্যাপারে এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে পারছেন না আবহাওয়া (weather office) দফতরের কর্তারা। তাই সম্ভাব্য সব রকম বিপদ আঁচ করেই জেলা প্রশাসন এবং কলকাতা পুরসভাকে (Kolkata corporation) আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের যাবতীয় ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief minister Mamata Banerjee) নির্দেশে যশের প্রতিমুহূর্তের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রাখছে নবান্ন (nabanna)। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামতে প্রস্তুত নবান্ন সহ জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন বলছে, প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩ তারিখ থেকে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিঘা, শঙ্করপুর, সুন্দরবন সর্বত্রই চলছে মাইকিং। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকাতে তৈরি করা হচ্ছে সাইক্লোন সেন্টার। তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের।

বিপর্যয় মোকাবিলায় ও বিদ্যুৎ পরিষেবায় রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের তরফে বিভিন্ন জেলায় গ্যাঙ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গ্যাঙে ৬-৭ জন বিদ্যুৎকর্মী থাকবেন। কলকাতা পৌরসভা এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে রাখা হবে গ্যাঙ। তাদের ২৫ মে দুপুর ১ টার মধ্যে সমস্ত কো-অর্ডিনেটারদের কাছে রিপোর্ট জানাতে হবে। আগামী ২৫ মে থেকে বিদ্যুৎ ভবনে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর 8900793503 ও 8900893504। আগামিকাল থেকে সমস্ত বিদ্যুৎ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ২৫ মে থেকে কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

সাইক্লোন সেন্টার গুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ত্রাণ শিবির গুলোকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। শিবিরে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার , পলিথিন, পানীয় জল ওষুধ, শিশু খাদ্য, ওআরএস, জামা কাপড় মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- করোনায় প্রয়াত চিপকো আন্দোলনের নেতা পদ্মবিভূষণ সুন্দরলাল বহুগুনা

Advt

 

 

Previous articleশুধুই বন্দিশালার ঠিকানা বদল, চার অভিযুক্তের পক্ষে আর কিছুই নেই
Next articleউত্তর কলকাতার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুরু অক্সিজেন পার্লার