কল্যাণের কাছে কলকাতার রসগোল্লা খাওয়ার আবদার সিবিআই আইনজীবীর! কী বললেন তৃণমূল সাংসদ?

তখন নারদা মামলায় (Narada Scam Case) হাইকোর্টে (Kolkata High Court) হাইভোল্টেজ শুনানি চলছে। ধৃত চার নেতা-মন্ত্রীর জামিন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ভার্চুয়ালি গুরুগম্ভীর সওয়াল-জবাব। কিন্তু বাদী-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের কিছুটা খোশ মেজাজে খুঁজে পাওয়া গেলো। শুনানি পর্বে “হেভিওয়েট” মামলা কিছুটা “লাইটওয়েট” হয়ে উঠেছে।

শুনানির একটা পর্বে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) পাইয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সিবিআই (CBI) আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল (SG) তুষার মেহেতার (Tushar Meheta) বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কল্যাণবাবু বলেন, তাঁকে বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কিছু পরেই তার কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কলকাতার রসগোল্ল (Rosogolla) খেতে চান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূল সাংসদ (TMC MP)। আর এনিয়ে বেশখানিকটা ঠাট্টা-তামাশা ভার্চুয়াল আদালত কক্ষে। এদিকে আইনি লড়াইয়ের ময়দানে প্রতিপক্ষের এহেন আলাপচারিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলও (Rajesh Bindal)।

আরও পড়ুন-প্যারোলে ছাড়া পেল ধর্ষণে অভিযুক্ত ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম

শুনানি চলাকালীন কল্যাণবাবু কিছুটা মজা করে বলেন, তিনি কলকাতায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল, অভিষেক মনু সিংভি (Abhishek Monu Singbhi)এবং আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরাকে (Siddhartha Luthata)। সঙ্গে সঙ্গে সিংভি বলে ওঠেন, “দেখো, কলকাতায় গেলে এসজিকে আবার গ্রেফতার কোরো না কিন্তু!” হেসে ওঠেন দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে বসে ভার্চুয়াল শুনানি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকলেই।

হেভিওয়েট মামলার এমন হাল্কা সৌজন্যবোধের আরও উদাহরণ রয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা শুনানি চলাকালীন একটা পর্বে বলেন, “সশরীরে কোর্টে উপস্থিত থাকলে, আমরা সবাই মিলে একসাথে বসে চা-কফি খেতে পারতাম।” তখন সিবিআই কৌঁসুলি বলেন, “শুধু চা-কফি নয়, আমি কল্যাণবাবুকে অনুরোধ করতাম কলকাতার কোনও ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়ে আমাদের রসগোল্লা খাওয়ানোর জন্য।” ফের হাসির রোল পর্দাজুড়ে।

খুনসুটির এখানেই শেষ নয়, অভিষেক মনু সিংভির নাম উল্লেখ করে শুনানি পর্বে হাসিমুখেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, “আমরা খুব ভালো বন্ধু। মামলা চলাকালীন হাল্কা কথাবার্তায় সিংভি কীভাবে বিভাজন আনতে পারেন, তার উল্লেখ রয়েছে একটি ল-জার্নালে।” সিংভি তুষার মেহেতাকে বলেন, “তুমি তো জানোই না, আমি কী উল্লেখ করব! তার আগেই বিরোধিতা করো। তুমি সব সময় আমার পিছনে লেগে রয়েছ।” মেহেতা বলেন, “যখনই আমি তোমায় (সিংভি) দেখি, তোমার বিরোধিতা করছি বলে অনুভব করি।”

Advt

Previous articleব্যাপক বৃষ্টি ভুবনেশ্বরে, ‘যশ’-এর প্রভাব বলেছেন আবহবিদরা
Next articleকরোনা ভ্যাকসিন পাবেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা, কলকাতার কোন জায়গাগুলিতে দেওয়া হবে?