Cyclone Yass : যশ মোকাবিলায় তৈরি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্স

২৬ মে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে যশ। আমফানের থেকেও বিধ্বংসী হবে যশ। অন্তত এমনটাই বলছেন আবহবিদরা। তার আগেই যশ মোকাবিলায় জোড় কদমে প্রস্তুতি চলছে বাংলায়। আবহবিদদের আশঙ্কা, সুন্দরবন সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের কোনও এলাকায় আছড়ে পড়বে অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় যশ। ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশাতেও। তাই দুই রাজ্যেই সেনাবাহিনীর বিশেষ কলাম প্রস্তুত। সেই সঙ্গে উদ্ধারকাজে কারিগরি সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্সও তৈরি করেছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, “ওড়িশায় সেনার দুটি কলাম এবং দুটি ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্স প্রস্তুত। পশ্চিমবঙ্গে এই ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত ৮ কলাম সেনা এবং একটি ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্স।”

আরও পড়ুন-ঘণ্টায় ১৬৫ কিমি বেগে আসবে যশ ! জারি কড়া সতর্কতা

এছড়াও যশ মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর রাখছেন প্রশাসনের কর্তারা। ইতিমধ্যেই সেখানে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। সব দফতরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখেই যশ-এর মোকাবিলা করা হবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় পৌঁছেছে ৪ কোম্পানি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)। কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৫টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে এই দুই রাজ্যে। এ ছাড়া আরও ২০টি দল তৈরি রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাদের কাজে নামানো হবে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নিম্নচাপের গতি প্রকৃতির দিকে নজর রেখেছে নৌবাহিনী। হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ (HADR)-এর আওতায় নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজকে তৈরি রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে যেখানে ক্ষয়ক্ষতি হবে সেখানে ত্রাণ ও অন্য সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছে যাবে এই জাহাজগুলি। এছাড়াও বিশাখাপত্তনামে আইএনএস ডেগা ও চেন্নাইয়ে INS রজলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Advt

Previous articleঘণ্টায় ১৬৫ কিমি বেগে আসবে যশ ! জারি কড়া সতর্কতা
Next articleনারদ মামলা: ২ নেতা গৃহবন্দি, সুব্রত-মদন হাসপাতালে