ঘণ্টায় ১৬৫ কিমি বেগে আসবে যশ ! জারি কড়া সতর্কতা

প্রবল শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। বুধবার দক্ষিণবঙ্গ ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী জুড়ে দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সতর্কবার্তা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গেও। যশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা, এই দুই রাজ্যেই আজ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর (IMD) জানিয়েছে, ‘যশ’-এর শক্তিও হবে আমফান মতোই। বঙ্গোপসাগরে তৈরী হচ্ছে নিম্নচাপ। আর সেই নিম্নচাপ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।
গতকাল আবহাওয়া দফতরের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানেই IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল জানান,২৬ তারিখ সন্ধ্যে নাগাদ ‘যশ’ আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়। এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি। সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত। উপকূলবর্তী এলাকায় ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। গতকাল সকাল থেকেই পূর্ব-মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে৷ আগামিকালের মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ এর পর উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে সেটি ২৪ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷ পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷ এর পর থেকেই আরও উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে সরে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ২৬ মে সকালে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছবে ‘যশ’।
সোমবার দু’দফায় শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার তা আরও শক্তি বাড়িয়ে আছড়ে পড়বে পশ্চিমবং উপকূলে। ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে ‘যশ’, তা স্পষ্ট হবে সোমবারের মধ্যেই।
এদিকে ‘যশ’এর মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। উপান্ন তে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফ টিম।গোটা বিষয়টিতে নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advt https://shrachirealty.com/project/renaissance/

Previous articleকরোনা আবহে পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্র
Next articleCyclone Yass : যশ মোকাবিলায় তৈরি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্স