Thursday, August 28, 2025

হিন্দুত্ববাদের নয়া দালাল সঙ্ঘপন্থী নাগেশ্বর ছাড়লেন না রামমোহন রায়কেও!

Date:

নাগেশ্বর রাওকে (nageshwar rao) মনে আছে? সিবিআই (cbi) এর অন্দরে মুষলপর্ব চলাকালীন পাকেচক্রে কিছুদিনের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসেছিলেন এই বিতর্কিত আইপিএস অফিসার। কর্মজীবনে বিতর্কিত এই ব্যক্তির সিবিআইয়ের সর্বোচ্চ পদে বসার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা ছিল তাঁর সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠতা। বিজেপির (bjp) শিকড় আরএসএসের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগসূত্রের কথা সেই সময়েই প্রকাশ্যে আসে। তা উপেক্ষা করেই স্বল্প সময়ের জন্য তাঁকে সিবিআই ডিরেক্টরের পোস্ট উপহার দেয় মোদি সরকার। অবসরগ্রহণের পর সেই নাগশ্বরই সব আড়াল ভেঙে এখন স্বমূর্তিতে। হিন্দু ধর্মের এই স্বঘোষিত ধ্বজাধারী যে কোনও ছুতোনাতায় টুইট করে হিন্দু ধর্মের অসম্মান খোঁজেন এবং ধর্মীয় উদারপন্থীদের যথেচ্ছ গালমন্দ করেন।

এহেন হিন্দুত্ববাদী নাগেশ্বর রাওয়ের কোপে এবার বাংলার নবজাগরণের প্রাণপুরুষ রাজা রামমোহন রায় (raja rammohan ray)। সতীদাহ প্রথার মত ভয়াবহ, জঘন্য, নারীবিদ্বেষী ও মানবতাবিরোধী সামাজিক প্রথা বিলোপের জন্য বাংলা তথা ভারতবাসীর কাছে শ্রদ্ধার, গর্বের রামমোহনকে ব্রিটিশের দালাল বলেছেন নাগেশ্বর। প্রকৃত অর্থে সমাজসংস্কারক বাঙালি যুগপুরুষ রামমোহন সঙ্ঘপ্রেমী নাগেশ্বরের চোখে আদ্যন্ত হিন্দুবিরোধী। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন সিবিআই কর্তার বিশ্লেষণ: রামমোহন রায় ছিলেন খ্রিস্টান মিশনারিদের দালাল। তাই তিনি হিন্দু ধর্মের ক্ষতি করতে সচেষ্ট ছিলেন।

প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সতীদাহ প্রথার মত জীবন্ত নারীকে পুড়িয়ে মারার প্রথাকেই হিন্দুধর্মের গর্বের স্মারক মনে করেন নাগেশ্বররা? এই ভয়ঙ্কর প্রথা রদ করেছিলেন বলেই কি বিজেপিপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের চোখে রামমোহন বিধর্মী হয়ে গেলেন? আশঙ্কার বিষয়, এই মানসিকতা যারা লালন করেন সেই গেরুয়া শিবির মাসখানেক আগেও বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল! বাংলার গরিমা, সমাজসংস্কারের মাহাত্ম্য বোঝার ক্ষমতাই নেই যাদের, সেই সঙ্ঘ কি বাংলার মনীষীদের অপমান করে আদৌ কোনওদিন বাংলার সাংস্কৃতিক আত্মাকে ছুঁতে পারবে?

আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণ দেশব্যাপী সমস্যা নাকি রাজ্য কেন্দ্রিক? কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হেমন্ত সোরেন

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version