ভ্যাকসিন এখনই সহজলভ্য করা সম্ভব নয়, করোনা-সঙ্কটের মধ্যে জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

0
1

যে সমস্ত ভ্যাকসিনগুলি ভারতে তৈরি হচ্ছে সেগুলি এখনই সহজলভ্য করা সম্ভব নয়। করোনা-সঙ্কটের মধ্যেই একথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল। করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছে। দেশে বর্তমানে করোনা টিকা উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে যে ব্যবধান তৈরি হয়েছে সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই এই কথা বলেন আগরওয়াল।

সোমবার আগারওয়াল বলেন, সম্পূর্ণ ব্যাপারটা দু’ভাবে সম্পন্ন হয়। প্রথমটি হল উৎপাদন ও পরেরটি বাজারে ভ্যাকসিনের প্রাপ্তি। এই মাসে ৬.à§« কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরি হয়েছে। কোভ্যাক্সিনের ডোজ তৈরি হয়েছে à§§.à§« কোটি। যদি এই দুই ভ্যাকসিন মিলিয়ে মাসে à§® কোটি ডোজও তৈরি হয় তাও তৎক্ষণাৎ বাজারে পাওয়া সম্ভব হবে না। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। উৎপাদনের পরে এর স্থায়িত্ব এবং স্টেরিলিটি নিয়ে অধ্যয়ন করা হয়। এক্ষেত্রে প্রায় à§­ দিন সময় লাগে।

আরও পড়ুন-ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর এবার হলুদ ফাঙ্গাসের হানা, জানুন কতটা বিপদজনক এই ছত্রাক

তিনি আরও জানান,টিকাগুলি ব্যাচ হিসেবে বাজারে ছাড়া হয়। তার আগে এই ব্যাচগুলি হিমাচল প্রদেশের কসৌলিতে সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। সেখানে ব্যাচের পরীক্ষার হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে এগুলি ভারতের সাপ্লাই চেনে পাঠানো হয়।

এরপর ভ্যাকসিনগুলি গন্তব্য পৌঁছতে প্রায় ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। যগ্ম সচিব আরও জানিয়েছেন, রাজ্যগুলিকে লজিস্টিক ম্য়ানেজমেন্ট এবং ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট যাতে মজবুত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। যখন কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়, তখন প্রতিটি রাজ্যকে এও জানিয়ে দেওয়া হয় যে এই বরাদ্দ হওয়া ভ্যাকসিন ডোজের ভিত্তিতে প্রতিদিন কীভাবে দিতে হবে।