পর পর তিনবার ভোটে হেরেছেন। ২১ এর বিধানসভা ভোটেও তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলার মানুষ। তাই ইয়াস- এর পূর্বাভাস পেয়েও রাগে-অভিমানে সুন্দরবনের মানুষদের থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন। এমনকি সুন্দরবনের দুর্গতদের পাশে থাকতে সায় দেয়নি তাঁর পরিবারের কেউই। তাই পুরোদমে কোভিড রোগীদের সেবায় নিজেকে সপে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও মন টিকল না। ইয়াস-এর ভয়াবহ পূর্বাভাসের কথা শুনে মুখ ফেরাতে পারলেন না কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। হার-জিতের পরোয়া না করেই সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় স্যোশাল মিডিয়ায় জানালেন, “আমি আসছি’।

এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগের মোকাবিলায় সুন্দরবনের মানুষদের পাশে থেকেছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হননি।দুর্গতদের পাশে ছুটে গিয়েছেন সবসময়। মঙ্গলবার ইয়াস আসার আগেই ফুঁসতে শুরু করেছিল সমুদ্র। তাই গতকাল রাত দশটাতেই ত্রিপল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ‘ইয়াস’ আসার আগেই রাস্তায় জল জমতে শুরু করে। সেই জল পেরিয়ে ত্রিপল হাতে সুন্দরবনের মানুষদের সাহায্য করতে রাতেই ছুটে যান আটাত্তরের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। জানান, রাতেই রায়দিঘির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। যারা অসুবিধেয় পড়েছে তাঁদের সাহায্য করবেন।এরপর আজ সকালেই বাঁধ মেরামতির কাজ পরিদর্শনও করেন।

প্রসঙ্গত, ইয়াসের মোকাবিলায় রায়দিঘির বিরাজমোহিনী স্কুলে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার গ্রামবাসীর থাকার ব্যবস্থা করেছেন সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি দুবেলা তাঁদের খাওয়ারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ইয়াস-এর ভয়াবহ পূর্বাভাস পেয়ে পরিবারের বারণ সত্ত্বেও শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে কান্তিবাবু লেখেন, ‘আমি আসছি’।
