মিউকরমাইকোসিস বা Black Fungus-কে মহামারি ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার

Black Fungus বা মিউকরমাইকোসিসকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার৷

মিউকরমাইকোসিসকে দেশে প্রথম মহামারি ঘোষণা করে রাজস্থান সরকার। এর পর একাধিক রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই সংক্রমণকে ১৮৯৭ সালের মহামারি আইনের আওতায় এনে ‘মহামারি’ ঘোষণা করেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও ছত্রাকঘটিত Black Fungus- মহামারি আইনের আওতায় এলো৷ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, রাজ্যের যে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থকর্মী যদি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কোনও রোগীর দেহে চিহ্নিত করে, বা সন্দেহ হয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হতে পারে, তবে অবিলম্বে তা জানাতে হবে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিককে। এবং সেই তথ্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে তখনি পৌঁছে দিতে হবে। রোগীর ঠিকানা, এবং সমস্ত তথ্য জানাতে হবে। যদি কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এই ফাঙ্গাসের কারণে, তাহলে তাও জানাতে হবে। করোনা কালে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসকে আটকাতে তৎপর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আর এই জন্যই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ‘নোটিফায়েবল ডিজিজ’ ঘোষণা করল রাজ্য। রাজ্যের কোথাও কোনও মিউকরমাইকোসিসের রোগী ধরা পড়লে তা সংশ্লিষ্ট CMOH-কে জানাতে হবে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে Black Fungus বা মিউকরমাইকোসিসে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আক্রান্ত আরও বেশ কয়েকজন। এই রোগকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও একাধিক রাজ্য। এবার ছত্রাকঘটিত এই রোগটিকে মহামারি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকাও। স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের কোথাও কোনও মিউকরমাইকোসিসের রোগী ধরা পড়লে তা CMOH-কে জানাতে হবে। রোগী কোন এলাকার বাসিন্দা, তার ঠিক কোন ধরনের চিকিৎসা চলছে, জানাতে হবে তাও।রোগটির চিকিৎসা সম্পর্কিত নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে৷
চিকিৎসকদের অভিমত, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর এই রোগের সংক্রমণের প্রবণতা বেশি হচ্ছে। বহুক্ষেত্রে অক্সিজেনের নল থেকেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।

এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইসিটিস ছত্রাক থেকে হয়। এটি মৃত্তিকা এবং পচা পাতার মতো ক্ষয়কারী জৈব পদার্থের মধ্যে পাওয়া একটি ছত্রাক। এই বিরল সংক্রমণটি সাধারণত মাটি, গাছপালা, সার বা পচনশীল ফল ও সব্জির মধ্যে যে শ্লেষ্মা থাকে, তার থেকেই ছড়ায়। মানুষের দেহে সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই সংক্রমণ। যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যাঁদের করোনা হয়েছে, যাঁদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যাঁরা ক্যানসার, এইচআইভি, এইডস-এ আক্রান্ত, সেই সব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ প্রাণহানিকর পর্যন্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন- উত্তাল সমুদ্র, রাস্তায় ভাসছে গাড়ি, দিঘার হোটেলগুলি জলমগ্ন

Advt

Previous articleউত্তাল সমুদ্র, রাস্তায় ভাসছে গাড়ি, দিঘার হোটেলগুলি জলমগ্ন
Next articleআতঙ্ক ইয়াস, বন্ধ রাখা হল কলকাতার বিমান পরিষেবা