আর ৯ ঘন্টার মধ্যেই শক্তি হারাবে ইয়াস, কমবে ঝড়, বৃষ্টি

বুধবার সকাল ৯.১৫ মিনিটে ওড়িশার ধামরা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল সুপার সাইক্লোন ইয়াস। আর ল্যান্ডফল শেষ করল দুপুর ১টায়। মৌসম ভবন ও আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আর ৯ ঘণ্টা পরেই কমে যাবে ইয়াসের শক্তি। কমবে ঝড়-বৃষ্টির দাপট। ল্যান্ডফলের ( landfall of super cyclone yaas) প্রথম ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ধামরা থেকে বালাসোরের মাঝে ইয়াসের তাণ্ডব চালিয়েছে। ক্রমে তা পশ্চিমের দিকে সরে গিয়েছে। এরপরই ঘূর্ণিঝড় আস্তে আস্তে শক্তি হারাতে শুরু করেছে। রাতে মধ্য ওড়িশার দিকে এগোতে এগোতে ঘূর্ণিঝড় আরো এক দফা শক্তি কমাবে। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় যখন চক্রধরপুর, চাইবাসার কাছে পৌঁছবে তখনও তার শক্তি কিছুটা কমলেও অনেকটাই বজায় থাকবে। ফলে বাংলার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবে, বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। বেলা যত বাড়বে ঝোড়ো হওয়া এবং বৃষ্টির দাপট ততটাই বাড়বে।

মৌসম ভবন(Mausam bhawan) এবং আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipur weather office) পূর্বাভাস বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর,ঝাড়গ্রাম, হাওড়া,কলকাতা, পুর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায়। তিন জেলা প্রশাসনকেই সতর্ক করা হয়েছে। সকাল থেকে প্রাকৃতিক তাণ্ডবের জেরে এরইমধ্যে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক গ্রাম প্লাবিত। এরপর দ্বিতীয়বার কোটালে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত ও আতঙ্কিত হয়ে প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা।

Previous articleঅ্যালোপ্যাথি বিতর্ক: রামদেবকে এবার ১০০০ কোটি টাকার মানহানির নোটিশ
Next articleপ্রথমে কোভিশিল্ড, দ্বিতীয় ডোজ কোভ্যাক্সিন পেলেন যোগী রাজ্যের গ্রামবাসীরা