দুপুরে চন্দ্রগ্রহণ, সন্ধ্যায় পূর্ণিমা, রাতে ভরা কোটাল : নতুন করে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আবহাওয়াবিদরা

মৌসম ভবনের (Mausam bhawan weather bulletin )সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী দুপুর ১ টায় ল্যান্ডফল শেষ করল সুপার সাইক্লোন ইয়াস (super cyclone yaas) । আর এদিন ল্যান্ডফল শুরু হয়েছিল সকাল ৯.১৫ নাগাদ। মৌসম ভবন জানিয়েছে প্রচন্ড ঝড়ের দাপট এবার আস্তে আস্তে কমবে। তবে ঝড় পুরোপুরি থামতে এখন অনেকটাই সময় লাগবে। সুপার সাইক্লোনের দাপটে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত এবং বিধ্বস্ত বাংলা , ওড়িশা। তবে আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না আবহাওয়াবিদদের। কারণ আজ বুধবার পূর্ণিমা(full moon)। সেই সঙ্গে রাত ৯টায় ভরা কোটাল। আবার চন্দ্রগ্রহণও (lunar eclipse)রয়েছে আজই। । বুধবার দুপুর ৩টো ১৫ মিনিটে শুরু হওয়ার কথা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। সম্ভবত ২০২১ সালে এটিই প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন’ (blood moon)। সবমিলিয়ে রাজ্যজুড়ে আজ কেবলই দুর্যোগের ঘনঘটা।

মৌসম ভবন(Mausam bhawan) এবং আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipur weather office)অনুমান এর ফলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর,ঝাড়গ্রাম, হাওড়া,কলকাতা, পুর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায়। তিন জেলা প্রশাসনকেই সতর্ক করা হয়েছে।

সকাল থেকে প্রাকৃতিক তাণ্ডবের জেরে এরইমধ্যে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক গ্রাম প্লাবিত। এরপর দ্বিতীয়বার কোটালে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত ও আতঙ্কিত হয়ে প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা।

Previous articleদেশবাসীকে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছার পাশাপাশি করোনায় মৃতদের প্রতি সমবেদনা মোদির
Next articleতোলাবাজিতে কেন রিপাবলিকের সাংবাদিক? জবাব চায় বাংলা