না জানিয়ে কেন আব্বাসের সঙ্গে জোট, রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঝড়ের মুখে নেতৃত্ব

সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঝড়। ঝড়ের মুখে বেসামাল হলেন রাজ্য নেতৃত্ব। তবু বাস্তব থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য নেতারা। বৈঠকে একের পর এক সদস্যদের একটাই প্রশ্ন, আব্বাস সিদ্দকির দলের সঙ্গে কেন জোট করা হল? কেন রাজ্য কমিটির সদস্যদের মতামত না নিয়েই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলো? বৈঠকে তাদের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান অপূর্ব সরকার, অমল হালদার। বিদ্রোহী তথা আত্মসমালোচনা করার জেরে তন্ময় ভট্টাচার্যকে তিন মাস সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ না খোলার নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে।

আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে ভোটের ফলের পরেই মুখ খুলেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য, অমল হালদার সহ একাধিক নেতা। রাজ্য কমিটির বৈঠকে তাঁরা সকলেই সরব ছিলেন। সেই সঙ্গে একাধিক নেতাও। তাঁদের স্পষ্ট কথা, ১৯৭২ সালেও দলের এধরণের পরিস্থিতি হয়নি। মানুষের কাছে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি খান খান হয়েছে। বামেদের উপর মানুষ বিশ্বাস হারিয়েছে। ২০১১ সাল থেকে ভোট কমতে কমতে ১কোটি ২৮ লক্ষ থেকে শুধু ২৮ লক্ষের নিচে নেমেছে। ২০১৬তেও যে পরিস্থিতি ছিল, তার চেয়েও খারাপ ফল। তার মূল কারণ আইএসএফের সঙ্গে জোট। মানুষ মেনে নিতে পারেনি এই সুবিধাবাদী জোট। সংখ্যালঘুরাও মুখ ফিরিয়েছে। তাই বিজেপিকে ঠেকাতে মানুষ বাম-কংগ্রেস নয় তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে। কোনও এক পলিটব্যুরো নেতার ব্যক্তিগতভাবে ভোটে জেতার স্বার্থে এই জোট বলেও কেউ কেউ কটাক্ষ করেন। প্রশ্ন ওঠে কেন জোট নিয়ে দলের নেতাদের মতামত নেওয়া হয়নি, একটা বৈঠকও হয়নি।

তোপের মুখে পড়েও রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, তাঁরা জোটে আছেন, থাকবেন। কেউ জোট ভেঙে বেরোতে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার। ফলে ভোটে ভরাডুবির পরেও নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুলও সরতে নারাজ সূর্য-বিমানরা। সিপিএম আছে সিপিএমেই।

Advt

Previous articleউয়েফা চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জয় চেলসির
Next articleভালো আছেন বুদ্ধদেব, আনা হয়েছে ভেন্টিলেশনের বাইরে