দলের অন্দরের ক্ষোভ প্রকাশ্যে! দিল্লির নেতারা ভোটের খরচের হিসেব চাইছেন বঙ্গ-বিজেপির কাছে

নজিরবিহীন!

বাংলায় বিধানসভা ভোটে খরচের হিসেব চাইছে বিজেপির দিল্লির নেতারা। কোটি কোটি টাকা খরচ করেও পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৭৭ টি আসন জিতেছে পদ্ম শিবির। ভোটের আগে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেও লাভ হয়নি। মুখ পুড়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ সহ বিজেপির বড় বড় নেতাদের।

দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের সাফ নির্দেশ, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন পর্বে যত টাকা খরচ হয়েছে তার হিসেব দিতে হবে। যা অর্থসাহায্য করা হয়েছিল তা কোন খাতে কত টাকা ব্যবহার করা হয়েছে তা সবিস্তার জানানো হোক। দলের শীর্ষ সূত্রের দাবি, দিল্লির নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতায় কোনওরকম কার্পণ্য করা হয়নি। হিসেব চাওয়ার কারণ, সঠিকভাবে অর্থ খরচ না করার জন্যই কি বাংলায় এমন নির্বাচনী বিপর্যয়? তা খতিয়ে দেখতে মরিয়া শীর্ষ নেতৃত্বরা। দলের অন্দরের খবর, যদি কোনও স্তরে ন্যূনতম খামতি ধরা পড়ে, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার চিন্তাভাবনা করছেন মোদি-শাহরা।

আরও পড়ুন-কংগ্রেসের টুলকিট ও বিজেপির জালিয়াতি, অমিতাভ সিংহের কলম

তবে এ ব্যাপারে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ‘রাজ্য পার্টির কাছ থেকে টাকা খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কোনও বিতর্ক কিংবা জল্পনার অবকাশ নেই। এটি বিজেপির একটি রুটিন প্রক্রিয়া। যখনই নির্দিষ্ট ইস্যুতে কোনও রাজ্য পার্টির জন্য টাকা খরচ করা হয়, তখন কাজ শেষের পর সেই সংক্রান্ত হিসেব চায় দল। যাতে পুরো প্রক্রিয়াটিই স্বচ্ছ থাকে। গেরুয়া শিবির আরও ব্যাখ্যা করেছে। জানিয়েছে, নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত হিসেব খানিকটা পেশ করতে হয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও। ফলে দলের রাজ্য নেতারা তা না পাঠালে, কেন্দ্রীয় পার্টি ব্যয়ের নথি জমা দিতে পারে না। তাই হিসেব চাওয়া হয়েছে।

একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হওয়া নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন, সব কেন্দ্রের জন্য সমান পরিমাণ অর্থ সাহায্য করেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। রিপোর্ট অনুযায়ী যেসব কেন্দ্রে জয়ের সম্ভাবনা বেশি ছিল, সেখানে একরকম অর্থসাহায্য করেছে, অন্য কেন্দ্রগুলিতে একরকম টাকা দিয়েছিল। তবুও গড়ে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র পিছু কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দিয়েছিলেন দিল্লির নেতারা।

Pp

Advt