মুকুলের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক, কথা শুভ্রাংশুর সঙ্গে

রাজনীতি যদি সম্ভাবনা শিল্প হয়, তাহলে বুধবারের সন্ধ্যা বিরাট ইঙ্গিত হিসাবে মনে রাখতেই হবে রাজনৈতিক মহলকে। বুধবার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে ফেরার পথে বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে গেলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য মুকুল রায়ের অসুস্থ স্ত্রী কৃষ্ণা রায়কে দেখতে যাওয়া। অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া বাঙালি সৌজন্যের একটা অঙ্গ। কিন্তু অসুস্থ ব্যক্তি যদি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বিধায়ক মুকুল রায়ের স্ত্রী হন এবং দেখা করতে যাওয়া ব্যক্তির নাম যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয়, তাহলে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে উঠতে বাধ্য।

রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, মুকুল রায় ক্রমশ তৃণমূলের কাছাকাছি আসতে চাইছেন। ইতিমধ্যে মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু বীজপুরে হারের পর বিজেপির উপর যে ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছেন, তা স্পষ্ট হয়েছে ফেসবুক পোস্টে। শুভ্রাংশু লিখেছেন, কেন হার? তৃণমূলের সমালোচনা করার আগে দলের নিজের আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। তারপর জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু শুভ্রাংশু কথা ফিরিয়ে নেননি। অন্যদিকে অসুস্থ হলেও মুকুল কার্যত বিজেপির রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। আর সেই কারণে অনেকেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন। রাজনৈতিকমহল বলছে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। অনেক কিছু ঘটবে।

বুধবার সন্ধে ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ কৃষ্ণা রায়কে দেখতে অ্যাপোলো হাসপাতালে দেখতে যান। কেবিনের বাইরে থেকে তাঁকে দেখেন। কৃষ্ণা রায় এই মুহূর্তে কার্যত অচৈতন্য। চিকিৎসা চলছে। ছিলেন শুভ্রাংশু। শুভ্রাংশুর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অভিষেক। কথা হয় মুকুল রায়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও। অভিষেক চলে যাওয়ার পর, শুভ্রাংশু বলেন, তিনি আপ্লুত। অভিষেকের সৌজন্য তিনি মনে রাখবেন।

সঙ্ঘাতের মধ্যে সৌজন্যের আবহ নিশ্চিতভাবে বহু সম্ভাবনার কথা বলে গেল বুধবার অ্যাপোলো হাসপাতালের ঘটনা।

আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে দুই মহিলার মৃত্যু 

Advt

 

Previous articleদাদাকে বাঁচাতে ডোমিনিকার বিরোধী নেতাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ মেহুলের ভাইয়ের বিরুদ্ধে
Next articleরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই আমলা-বদলি, এবার জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে