অভিষেকের সৌজন্যে চাপে বিজেপি! দিলীপ যাওয়ার পরে এবার মোদির ফোন মুকুলকে

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের (Mukul Roy) স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির খবর নিতে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। করোনা (Carona) আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় (Krisna Ray)। বুধবার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে ফেরার পথে তাঁকে দেখতে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই কৃষ্ণা রায়কে দেখতে হাসপাতালে ছোটেন বিজেপি (Bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আর তার 12 ঘণ্টা যেতে না যেতেই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মুকুল রায়কে ফোন করে তাঁর স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নিলেন। অসুস্থ মানুষের খোঁজ নেওয়া একটি সৌজন্যে। কিন্তু বুধবার সন্ধে থেকে ঘটনা পরম্পরা রাজনৈতিক মহলে অনেক জল্পনা উসকে দিয়েছে।

রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, মুকুল রায় ক্রমশ তৃণমূলের কাছাকাছি আসতে চাইছেন। ইতিমধ্যে মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় (Shubranshu Ray) বীজপুরে হারের পর বিজেপির উপর যে ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছেন, তা স্পষ্ট হয়েছে ফেসবুক পোস্টে। শুভ্রাংশু লিখেছেন, “কেন হার? তৃণমূলের সমালোচনা করার আগে দলের নিজের আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন”। তারপর জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু শুভ্রাংশু কথা ফিরিয়ে নেননি। অন্যদিকে, অসুস্থ হলেও মুকুল কার্যত বিজেপির রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। আর সেই কারণে অনেকেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধে ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ কৃষ্ণা রায়কে দেখতে অ্যাপোলো হাসপাতালে যান অভিষেক। সেই সময় হাসপাতালে মুকুল রায় উপস্থিত না থাকলেও ছিলেন তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু। অভিষেকের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। কথা হয় মুকুল রায়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও। অভিষেক চলে যাওয়ার পর, শুভ্রাংশু বলেন, তিনি আপ্লুত। অভিষেকের সৌজন্য তিনি মনে রাখবেন।

এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরেই নটা নাগাদ হাসপাতালে যান দিলীপ ঘোষ. তিনিও খোজ খবর নেন মুকুল জায়ার। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়াটা সৌজন্য। সেই কারণেই তিনি গিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়ার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিপদের দিনে রাজনীতি ভুলে পাশে দাঁড়ানোটাই কাম্য। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, গত 20দিন ধরে অসুস্থ কৃষ্ণা রায়। এর মধ্যে একবারও তাঁকে দেখতে যাওয়ার সময় হল না দিলীপ ঘোষের? ঠিক সেদিনই তিনি গেলেন যেদিন সন্ধেয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে গিয়েছে। আর এই নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে সমীকরণ টানার চেষ্টা চলছে তখনই নরেন্দ্র মোদির ফোন মুকুল রায়কে। আর সেই ফোনে আরও জল্পনা উসকে দিল। তাহলে কি মুকুল ঝরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে বিজেপি? না কি যুব তৃণমূল সভাপতির সৌজন্যে বিজেপি নেতৃত্বের টনক নড়েছে? এখন এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজনীতির অলিন্দে।

Advt

 

Previous articleদ্বিতীয় ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ টিকা, ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ কোটি ডোজের টার্গেট
Next articleসোদপুরে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাবে ‘রানার ছুটেছে’