দ্বিতীয় ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ টিকা, ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ কোটি ডোজের টার্গেট

ঘাটতি মেটাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দ্বিতীয় টিকা আসতে চলেছে বাজারে। বছর শেষের আগেই দেশের সবাইকে টিকা করণের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সমালোচনার মুখে পড়ে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ প্রকল্পে বিদেশেও টিকা পাঠানোও বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও লক্ষ্য পূরণ হওয়া কঠিন। তাই এবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দ্বিতীয় টিকা হাতে পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ কোটি ডোজ টিকা তৈরি বরাত দেওয়া হচ্ছে হায়দরাবাদের ‘বায়োলজিক্যাল-ই’ সংস্থাকে। এর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাদের দেড় হাজার কোটি টাকা অগ্রিমও দিচ্ছে।
ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের কারখানায় তৈরি যথাক্রমে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে ভারত বায়োটেক দেশীয় ফরমুলায় টিকা উত্পাদন করছে। সেরাম ইনস্টিটিউট ব্রিটেনের সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকা উত্পাদন চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া থেকে ‘স্পুটনিক ভি’ আমদানি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মার্কিন সংস্থা ফাইজার এবং মডেরনার সঙ্গেও কথা চলছে। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে হায়দরাবাদের সংস্থার টিকাও। বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার টিকা প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল দিয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। মনে করা হচ্ছে আগস্টেই বাজারে এসে যাবে সেই টিকা।
বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার টিকা ‘ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড-১৯’ পরীক্ষা করেছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই উদ্যোগ দেশীয় প্রযুক্তিতে আরও বেশি করে টিকা উত্পাদন সংক্রান্ত গবেষণাকে উত্সাহিত করবে।

Advt