সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বেশ সক্রিয়। নানা ইস্যুতে প্রায়ই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র লাইভে চলে আসেন। আর তা নিয়ে এবার দলের ভার্চুয়াল সাংগঠনিক বৈঠকে কার্যত ধমক খেতে হল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাতেও তিনি থামলেন না। বাড়ি ফিরে ফের লাইভ মদন মিত্র।
শনিবারের ফেসবুক লাইভ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি দেখিয়ে, গানও শোনান। কিন্তু সেই গানে যেন অভিমানের সুর ছিল। তবে দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে তিনি যে আর যখন তখন বিশেষ লাইভে আসবেন না তাও জানিয়ে দিলেন।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কামারহাটিতে সিপিএম প্রার্থীর কাছে হেরে যান মদন মিত্র। কিন্তু তাও এলাকায় দাপট ধরে রেখেছিলেন। নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্তও থেকেছেন। সেই সঙ্গে থেকেছেন ফেসবুক লাইভেও। সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভে দাবি করে বসেন, কামারহাটি পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হোক তাঁকে। তাহলে তিনি কামারহাটিকে কলকাতার থেকেও সুন্দর করে গড়ে তুলবেন। পরে সেই লাইভ ফেসবুক থেকে উধাও হয়ে যায়। একাধিকবার তিনি ফেসবুক লাইভে এসে দলকে মাঝে মধ্যেই বিব্রত করেছেন। সেই ঘটনার রেস টেনেই দলেনত্রী তাঁকে বলেন সব কিছু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করা যায় না।
শনিবার আপাতত ‘শেষ লাইভে’ মদন মিত্র বলেন, ‘‘দিদির কাছে মদন মিত্রের ফেসবুকের থেকে ফেসভ্যালু বেশি। কোথাও কোনও দাগ নেই। কাটা ছেঁড়া নেই।’’ তার পরই মুখে হাসি ধরে রেখে মদন মিত্র বলেন, ‘‘কাল থেকে সেই মদন মিত্রকে আর পাবেন না, যাঁকে কথায় কথায় পেতেন।’’
দলের সাংগঠনিক রদবদলে নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি মদন মিত্র। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এত দিন দিদির ডিপ ডিফেন্সে আমি জাগ্রত ছিলাম। এ বার থেকে অভিষেকের ডিফেন্সেও আছি।’’ প্রায় ২২ মিনিট চলে মদন মিত্রের এই লাইভ।
আরও পড়ুন- সোমবার থেকেই শুটিং শুরু হচ্ছে বলিউডে, মহারাষ্ট্রেও শুরু আনলক প্রক্রিয়া