Saturday, November 8, 2025

অপেক্ষা সুপ্রিমোর গ্রিন সিগন্যালের, কংগ্রেস, ফব ভেঙে এবার কেরলে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল

Date:

Share post:

কেরলে ভাঙন ধরেছে কংগ্রেসে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UDF জোটও ক্রমশ নড়বড়ে হচ্ছে৷ এই জোটের বহু কংগ্রেস নেতা এবং জোটসঙ্গী ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে তৈরি। তৃণমূল সুপ্রিমোর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই কেরলে তৃণমূল কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করবে। তৃণমূলের শীর্ষস্তরের সবুজ সংকেত মিললে এবার কেরলেও ভিত শক্ত ভিতে দাঁড়াতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

২০১১ সালে কেরলে তৃণমূল প্রথমবার পা রেখেছিলো৷ বাংলার কৌশলে কেরলেও সিপিএমের বিজয় রথ থামানোর চেষ্টায় ছিলো তৃণমূল। কিন্তু বেশিদিন ধরে রাখা যায়নি দলকে। সেই সময় এর কারণ হিসাবে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক নেতাকেই দায়ি করেছে মালয়ালি নেতৃত্ব৷ তৃণমূলের উদাসীন মনোভাবের কারণেই এই প্রচেষ্টা ২০১৫-তে ভেঙে যায়। ২০১৫-র পর এই নেতারা যোগ দেন কেরলের সিপিএম বিরোধী ফরওয়ার্ড ব্লকে। কেরলে এবার সিপিএম বিরোধী ফরওয়ার্ড ব্লক হাত মিলিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UDF-এর সঙ্গে। তবে একুশের ভোটের আগেই নির্বাচনে আসন রফা নিয়ে ফের বিরোধ শুরু হয় ফরওয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেসের মধ্যে। ওদিকে কেরলে ফের সরকার গড়েছে পিনরাই বিজয়ন। আর UDF- এ হারের কারণ হিসেবে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে সিপিএম আর কংগ্রেস।

রাজনৈতিক মহলের ধারনা, এই পরিস্থিতিতে কেরলের একদা তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা, যারা প্রথমে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং পরে কংগ্রেসের হয়ে ভোট লড়েছেন, তাঁরা এবার চাইছেন কেরলে ফের ঘুরে দাঁড়াক তৃণমূল কংগ্রেস। সে কারনেই এখন অপেক্ষা করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের।

আরও পড়ুন-ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব, তথাগতর কটাক্ষের টুইট, পাল্টা তির দিলীপের

বাংলায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের পরই দেশে প্রধান বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে দাক্ষিণাত্যে প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, দলত্যাগী কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে এ মাসের শেষে দিল্লিতে বৈঠকে বসবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতাদের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা ভোটে সিপিএম গোপনে বিজেপির সঙ্গে আতাঁত করেই পরাজিত করে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UDF জোটকে। এই নেতাদের অভিযোগ, কেরল কংগ্রেস এখন নিজেরাই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। কেরলের প্রদেশ সভাপতি কে সুধাকরণ, রমেশ চেন্নিথালা, উমেন চান্ডিরা যে যার মতো গোষ্ঠী চালাচ্ছেন৷ অভিযোগ, কংগ্রেসের এই নেতারা দলের কথা না ভেবে নিজেদের অনুগামীদের টিকিট পাইয়ে দিতেই ব্যস্ত ছিলেন। নিজেরাই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের হারাতে তৎপর ছিলেন। তাই ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে কেরলে।

এ সব কারণেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শঙ্করানেল্লু-সহ কেরলের বহু কংগ্রেস নেতা। তাঁরা চাইছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেরলে এবার কাজ শুরু করতে৷ ওদিকে, তৃণমূলও চাইছে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগেই একাধিক ভিনরাজ্যে সংগঠন বাড়িয়ে নিতে। ফলে কেরলে এবার শক্তপোক্তভাবে তৃণমূলের পা রাখতে চলা সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

Advt

spot_img

Related articles

পার্লামেন্ট-ফোবিয়া: শীতকালীন অধিবেশনের সময় কমিয়ে দেওয়ায় তোপ তৃণমূলের

শনিবার ঘোষণা হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের। সংসদীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন...

আজ সোনা রুপোর দাম কত, জেনে নিন এক ঝলকে

৮ নভেম্বর (শনিবার) ২০২৫ ১ গ্রাম ১০ গ্রাম পাকা সোনার বাট ১২০৭৫ ₹ ১২০৭৫০ ₹ খুচরো পাকা সোনা ১২১৩৫...

একনজরে আজ পেট্রোল-ডিজেলের দাম 

৮ নভেম্বর (শনিবার), ২০২৫ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০৫.৪১ টাকা, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯২.০২ টাকা দিল্লিতে...

একলাফে বাড়ল বিহারের ভোট: ফায়দা কার? আশা দেখছে উভয়পক্ষ!

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা চমকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটদানের হার এক লাফে এতটা বেড়েছে,...