ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Yaas) প্রভাবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিডিও (Bdo) অফিসের সামনে রয়েছে ড্রপবক্স (Dropbox)। সেখানে আবেদনপত্র জমা দিতে হচ্ছে। আর সেই আবেদনপত্রে সবং ব্লকের 4 নম্বর দশগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তাপস কর লিখছেন, ইয়াসের আতঙ্কেই নাকি তাঁর ছাগল মারা গিয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমার ঘরবাড়ি তেমন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু গোয়ালের বাইরে ছাগল বাধা ছিল। ঝড়ের সময় আতঙ্কে মারা গেছে। ক্ষতিপূরণ দিলে বাধিত হব”। আবেদনপত্র দেখে হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারছেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
সবংয়ের বিডিও তুহিনশুভ্র মোহান্তি (Tuhinsubhra Mohanti) বলেন, নানা রকমের আবেদনপত্র জমা পড়ছে। ক্ষয়ক্ষতি সত্যতা যাচাই করেই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে তাপস একা নন, এই তালিকায় আছেন সবংয়ের বিলকুয়া গ্রামের বাসিন্দা রামপদ জানা। তিনি আবেদনে লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের পুকুরের তিন কোটি টাকার মাছ মারা গিয়েছে। পুকুরে 3 কোটি টাকার মাছ! কোন মাছের চাষ করছিলেন তিনি? ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।
সবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর আবু কালাম বক্স জানান, তিনটে পঞ্চায়েত এলাকায় আড়াই হাজারের মতো আবেদনপত্র এখনও জমা পড়েছে। ঝড়ের আতঙ্কে ছাগল মারা যাওয়া বা তিন কোটি টাকার পুকুরের মাছ মারার আবেদনের কথা শুনেছেন তিনি। তবে তাঁর মতে, অজ্ঞতা থেকেই এসব লিখেছেন গ্রামের মানুষ। বিডিও-কে তদন্ত করে সঠিক তালিকা তৈরি করতে বলেছেন তিনি। তবে ইয়াসের আতঙ্কে ছাগলের মৃত্যুর আবেদনপত্র এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।