বেসুরোদের তাড়াতাড়ি বিদায় নিতে বললেন লকেট!

ভোট পর্ব মিটতেই বেসুরো সুর বিজেপির অন্দরে । দলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে ময়দানে নামতে হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ।
দলবদলুদের অধিকাংশই এখন ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীদের সমালোচনায়। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসলে বিধানসভা নির্বাচনে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে এবং বিরাট পরাজয়ের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি গেরুয়া শিবিরের এই বেসুরোরা।

সেই বেসুরো দলে কে নেই ! সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, অমল আচার্য্যরা পদ্মত্যাগ করে তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভাল চোখে দেখবে না।

বুধবার সেই সমস্ত বেসুরো নেতা-নেত্রীদের উদ্দেশে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন , ‘তাড়াতাড়ি বিদায় নিন।’

মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির বৈঠকে হিন্দিভাষী নেতাদের দাপট নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছে সব্যসাচী দত্তের গলাতেও। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও। কার্যত, রাজ্য বিজেপির অন্দরের অন্তর্দ্বন্দ্ব বেআব্রু হয়ে পড়েছে । এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার, নবগ্রামের সতীথান অঞ্চলের ডাবপুরে বজ্রপাতে মৃত কিরণ রায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি মৃতের পরিবারের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ।
সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে বেসুরোদের নিশানা করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা যাঁরা বেসুরো গাইছেন, তাঁরা তাড়াতাড়ি বিদায় নিন। আমরা আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম। কোনও স্বার্থ নিয়ে এ দলে এসেছিলেন, স্বার্থ ফুরিয়েছে তাই বেরিয়ে যেতে চাইছেন। বিদায় হন। আমরা নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করব। আমাদের ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছেন।পশ্চিমবঙ্গের ৩৭ শতাংশ মানুষ আমাদের পাশে আছেন।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে লকেট বলেছেন, ৩৫৬ ধারার কোনও ভয় দেখানো হচ্ছে না। জুজু দেখানো হচ্ছে না। বাংলায় সন্ত্রাসের জেরে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া।
আসলে কার্যত লকেট এই মন্তব্য করে মেনে নিয়েছেন যে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
এরই পাশাপাশি হুগলির বিজেপি সাংসদ বলেন, গত কয়েকদিনে বজ্রপাতে বেশকিছু মানুষ অকালে প্রাণ হারিয়েছেন । কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দু’লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেই সাহায্য যাতে দ্রুত তারা পান, সে ব্যাপারে আমি বিশেষভাবে উদ্যোগ নেব।

Advt

Previous articleআগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের মুখ কি মমতা? জবাব দিলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী
Next articleফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন স্টেফানোস তিতসিপাস