‘ফুলটাইম’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি জোরদার হচ্ছে, চৌহান কমিটির সুপারিশও তেমনই

একুশের ভোটে কেন বাংলা ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ হলো তার কারণ জানতে AICC কমিটি গঠন করেছিলো৷
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহানের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে ছিলেন সলমন খুরশিদ, মনীশ তিওয়ারি, ভিনসেন্ট পালা ও জ্যোতি মানি। এই কমিটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে হাই কম্যাণ্ডকে৷ রিপোর্টে গুরুত্ব দিয়েই বাংলায় ‘পূর্ণ সময়’-এর প্রদেশ সভাপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছে৷ আর তার পরেই রাজ্য কংগ্রেসে জল্পনা তুঙ্গে, কে হবেন পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি? কেরলের বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর ওই রাজ্যে প্রদেশ সভাপতি বদল করেছে হাইকম্যান্ড। বাংলার ক্ষেত্রেও একই পথে AICC হাঁটতে চলেছে বলে সূত্রের খবর৷
প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি অধীর চৌধুরি এই মুহুর্তে একই সঙ্গে লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা এবং লোকসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা PAC-র চেয়ারম্যান। বেশিরভাগ সময়েই তাঁকে দিল্লিতে থাকতে হয়। একইসঙ্গে নজর রাখতে হয় নিজের জেলা মুর্শিদাবাদের দিকেও৷ কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত ওই জেলায় কংগ্রেস এবার খাতাই খুলতে পারেনি৷ বহরমপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি৷ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের মুখে তাই অনেকটাই চাপে আছেন অধীর৷ এত ব্যস্ততায় গোটা রাজ্যের কংগ্রেস সংগঠনের দিকে নজর দেওয়ার সময় কম পাচ্ছেন অধীর৷ ওদিকে চৌহান কমিটিকেও এই একই অভিযোগ জানিয়েছে একাধিক জেলা নেতৃত্ব ৷ এর পরই কমিটি বাংলায় পূর্ণ সময়ের সভাপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছে৷ আর সেই সুপারিশ ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা৷ সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদল করার কোনও সুপারিশ চৌহান কমিটি করেনি। তবে রাজ্য কংগ্রেসের নানা স্তর থেকে পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে দলের সাংগঠনিক রদবদল প্রয়োজন। দলের প্রায় সব স্তরেই দায়িত্ব পালনে ঘাটতি এবং সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। ইতিবাচক ফল পেতে হলে প্রদেশ সভাপতি পদে ‘পূর্ণ সময়’ দিতে পারবেন, এমন কেউ থাকলে দলের ভালো হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতা যে এমনই মনে করছেন, তাও বলা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে ৷

অধীরবাবুকে দিল্লির সব পদ থেকে সরিয়ে প্রদেশে পুরো সময়ের দায়িত্ব দিতে AICC চাইছে না৷ ফলে প্রদেশস্তরে ধারনা হয়েছে, ‘ফুল টাইম’ সভাপতি হিসাবে কাউকে প্রদেশ সভাপতি পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করছে হাই কম্যাণ্ড৷

কংগ্রেসের অন্দরে এখন চর্চা চলছে, অধীরকে সরিয়ে প্রদেশ সভাপতি পদে কে বসবেন ? যে-ই আসুন, দলের অন্দরে সেই নাম সর্বসম্মতিক্রমে হবে না৷ বিরোধী অংশও সক্রিয় থাকবে৷ সভাপতি পছন্দসই না হলে, আরও একবার দল ভেঙ্গে অন্য দলে যোগ দেওয়ার ঘটনাও অস্বাভাবিক হবে না৷ আবার এটাও ঠিক, ২৪-এর ভোটের প্রাক্কালে খেয়ালখুশি মতো নতুন প্রদেশ সভাপতি করার ঝুঁকি নাও নিতে পারে হাই কম্যাণ্ড৷

আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে মুম্বইয়ে বহুতল ভেঙে ৮ শিশু-সহ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু

Advt

Previous articleবৃষ্টিতে মুম্বইয়ে বহুতল ভেঙে ৮ শিশু-সহ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু
Next articleফ্রেঞ্চ ওপেনের শেষ চারে জোকোভিচ, সেমিফাইনালে তাঁর মুখোমুখি নাদাল