নিউটাউন এনকাউন্টারের পর থেকেই ফ্ল্যাট মালিক ও তাঁর ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। তদন্তে নেমে এবার বড়সড় ব্রেক থ্রু পেলো বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। সাপুরজির অভিজাত “সুখবৃষ্টি” আবাসনের বি-১৫৩ নম্বর টাওয়ারের ২০১ নম্বর অভিশপ্ত ওই ফ্ল্যাটের মালিকের পরিচয় সামনে এলো। তাঁর নাম আকবর আলি। বাড়ি সিআইটি রোডের এন্টালিতে।

আকবরের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ হল এনকাউন্টারে খতম হওয়া পাঞ্জাবের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লার ও জসসি খারারের? পুলিশি জেরায় নারকেলডাঙার বাসিন্দা ব্রোকার সৌরভ কুমারের দাবি, গত ২২ মে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সুমিত কুমার নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্রোকার এরপর যোগাযোগ করেন “সুখবৃষ্টি” সুশান্ত সাহার সঙ্গে। এবং সেই কারণেই সুশান্তর সঙ্গে ফ্ল্যাট মালিক আকবর আলির সরাসরি যোগাযোগ ছিল।

মৌখিক কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর পাকাপাকি ও লিখিত চুক্তির জন্য হরিয়ানার বাসিন্দা সুমিত কুমারের নামে জমা দেওয়া হয় ডক্যুমেন্ট। গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা রয়েছে বলে জানান সুমিত। চুক্তি চূড়ান্ত হলে আকবরের ভাইয়ের থেকে ব্রোকার চাবি নেয় এবং পার্টির হাতে তুলে দেয়। ২৩ মে ফ্ল্যাটে চলে আসে ভাড়াটে দুই যুবক। তারপর থেকে এখানেই ডেরা হয় তাদের।

আবাসন কালচারে খুব স্বাভাবিকভাবেই কেউ কারও খবর রাখে না। স্থানীয় সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের জানলা সবসময় বন্ধ থাকত। ওই দু’জনকে বাইরেও বেরোতে দেখেননি কেউ। খাবার আসত হোম ডেলিভারির মাধ্যমে।


পরিচয় গোপন রাখতেই নিজেদের ফ্ল্যাটের চার দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে রাখার কৌশল বলে মনে করছে পুলিশ। পাশাপাশি, তদন্তকারীদের অনুমান, ধরা পড়ার ভয়ে অন্যত্র পালানোরও ছক কষেছিল দুই গ্যাংস্টার। ফ্ল্যাটে মিলেছে বেশ কিছু প্যাকেট। সেখানে চিরকুট লেখা ঠিকানা দেখে সূত্র সন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।


এদিকে, ফ্ল্যাট মালিক আকবর থেকে শুরু করে চেইন ব্রোকারদের নাম ও পরিচয় একত্রিত করে যোগসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। রহস্যের জট ছাড়াতে নাম উঠে আসা প্রত্যেকের সঙ্গে কখনও আলাদা আবার কখনও একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- বিয়ে-বিতর্ক: “রেজিস্ট্রি করতে চেয়েছিলাম, এড়িয়ে গিয়েছে নুসরত”- অভিযোগ নিখিলের
