একেবারে ফিল্মি কায়দায় এনকাউন্টারের সাক্ষী নিউটাউন সাপুরজির অভিজাত আবাসন। ১৫ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস গুলি বিনিময়। “অপারেশন গ্যাংস্টার” শেষে খতম পাঞ্জাবের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লার ও জসসি খারার। অন্যদিকে, সংঘর্ষের সময় কলকাতা পুলিশের দুঁদে অফিসার কার্তিকমোহন ঘোষের বাঁ কাঁধ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বুলেট। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণে বেঁচে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

নিউটাউনের এই আবাসনে ডেরা বেঁধে থাকা দাগি অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ফ্ল্যাট মালিককে কাঠগড়ায় তুলছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ে তদন্তে নেমে ব্রোকারদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কীভাবে ভুয়ো পরিচয় ও ভুয়ো নথি দেখিয়ে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতীরা কলকাতায় ফ্ল্যাট ভাড়া পেলো তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এরই মাঝে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিজেপি। নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে এবার NIA তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে এবার এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে দুই গ্যাংস্টার থাকতেন, সেই ফ্ল্যাট মালিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি।

সৌমিত্র খাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে এনকাউন্টারে নিহত দুই গ্যাংস্টার থাকত, সেই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন এক বাংলাদেশি। আর তিনি গোটা বিষয়টি জানতেন বলেও দাবি সৌমিত্রর। এই গোটা ঘটনায় তারও যোগ থাকতে পারে, তাই অবিলম্বে NIA তদন্ত হোক।


নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে খতম দুই খলিস্তানী জঙ্গি বলে সন্দেহ দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ইতিমধ্যে মাদক ব্যবসায় পাকিস্তান মাফিয়া যোগ সামনে এসেছে। নিহতরা বিদেশি কোনও গ্যাংয়ের সঙ্গে বেআইনি অস্ত্র কারবার চালাতো বলেও জানা গিয়েছে। গ্যাংস্টারদের ব্যাগে মিলেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি দোকানের নাম ও ঠিকানা। এই তত্ত্বগুলি খাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে NIA তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ।

আরও পড়ুন:‘মা’ রান্নাঘর : একদিকে 5 টাকায় খাবার, অন্যদিকে কর্মসংস্থান
