ভয়ঙ্কর অপরাধী: ধৃত চিনা নাগরিককে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যেতে চায় উত্তরপ্রদেশের এটিএস

মালদহের ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনবেকে যত জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা ততই প্রকাশ্যে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের মতে, “ভয়ঙ্কর অপরাধী হান”।বৃহস্পতিবার দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ (Nia), উত্তরপ্রদেশের এটিএস (Ats), বিএসএফ (Bsf), সিআইডি (Cid), আইবি (Ib), মালদহ জেলা পুলিশ-সহ একাধিক সংস্থা। জেরায় ভারত থেকে প্রায় ১৩০০ সিম কার্ড (Sim Card) বিভিন্ন উপায়ে চিনে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মূলত আর্থিত প্রতারণার পরিকল্পনা ছিল বলে সূত্রের খবর।

হানের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিশ জারি প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছিল। শুক্রবার রাতেই তাঁকে কালিয়াচক পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হবে হানকে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর চিনা নাগরিককে আরেক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ডে হানকে নিয়ে সে রাজ্যে নিয়ে যেতে চায়।

বিএসএফ-এর বিবৃতিতে অনুতায়ী, জেরায় তারা জানতে পেরেছে হান ভয়ঙ্কর অপরাধী। এর আগে ৪ বার ভারতে এসেছিলেন তিনি। ২০১০-এ হায়দরাবাদে, ২০১৯-এর পরে তিনবার দিল্লি গুরুগ্রামে এসেছিলেন তিনি। সেখানে একটি হোটেলে বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিক কাজ করেন। সেখানে তাঁর কয়েকজন বন্ধু রয়েছে।এমনকি ওই ব্যক্তির ব্যবসায়িক পার্টনার সান জিয়াংকে গ্রেফতার করেছে লখনউ এটিএস। তারপরেই থেকেই গা ঢাকা দেয় হান।

আরও পড়ুন:শিশুশ্রম রোধে তৎপর শ্রমমন্ত্রক, এবার অনলাইনে জানানো যাবে অভিযোগ

বিএসএফ সূত্রে খবর, হান চিনের হুবাই প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর পাসপোর্ট পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২রা জুন হান বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। ৮ জুন বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের একটি হোটেলে ছিলেন। ১০ জুন ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টার সময় টহলরত বিএসএফ জওয়ানদের নজরে পড়েন তিনি। তাড়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন জওয়ানরা। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল হান কোনও চিনা গোয়েন্দা এজেন্সির হয়ে কাজ করে। এখন তদন্তকারীদের অনুমান, হান আদতে আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। তবে সঠিক তথ্য পেতে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মত পুলিশের।

Previous article৭০ দিন পরে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৯০ হাজারের নীচে, কমছে না করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা
Next articleখুন? সাতসকালে মহানগরের রাস্তায় রক্তাক্ত দেহ