হেস্টিংসে মুকুলের ঘরে তালা, এখনও স্পষ্ট নেমপ্লেট খোলার দাগ!

সদ্য ঘরে ফিরেছেন মুকুল রায় । আর তারপরই দ্রুত পট পরিবর্তন হয়েছে হেস্টিংসে বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ের ন’তলায় ৮০৩ নম্বর ঘরটিতে। বিজেপিতে থাকাকালীন এটিই ছিল মুকুলের অফিস। কিন্তু মুকুল ঘরে ফিরতেই ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিজেপি। দ্রুত খুলে নেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির নেমপ্লেটও। শুধু রয়ে গিয়েছে নেমপ্লেটের চৌকো ছাপ।
বিজেপি অফিসের এই ঘরটিতেই একটা সময় সবচেয়ে বেশি ভিড় লেগে থাকত। কারণ, মুকুলের নির্দেশে সকলের জন্য অবাধ প্রবেশের অনুমতি ছিল। কোনও কোনও সময় অনুগামীদের ভিড় মস্ত ঘরটায় তিল ধারণের জায়গা থাকত না। বাইরের বারান্দাতেও অপেক্ষা করতেন অনুগামীদর অনুগামীরা।
সিঁড়ি দিয়ে ন’তলায় উঠলে ডান দিকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘর। আর বাঁ দিকে গেলেই মুকুলের ছেড়ে যাওয়া ঘর। তার ঠিক পাশের ঘরটা বরাদ্দ কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের জন্য । আট তলায় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্যের অন্যান্য বড় নেতাদের আলাদা আলাদা ঘর রয়েছে। সব যেমন ছিল তেমনই রয়েছে। শুধু বদলে গিয়েছে মুকুলের ঘরের চৌহদ্দি। বিজেপি-র ওই দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন, মুকুলের নেমপ্লেট খুলে নেওয়া হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে। তার কিছুক্ষণ আগে বিকেলে, তৃণমূল ভবনে ছেলে শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে পুরনো দলে ফিরে যান মুকুল।

যদিও ওই ঘরে এখনও মুকুলের ব্যক্তিগত ব্যবহারের অনেক কিছুই রয়ে গিয়েছে। অনেক দিন ঘরের মালিক ঘরে না এলেও মুকুল তৃণমূলে ফেরার আগে পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়ম করে ঘর ঝাড়পোছ হয়েছে। রয়ে গিয়েছে আরও অনেক কিছুই। তার নিজস্ব থালা, প্লেট, কাপ, চামচ সবই রয়ে গিয়েছে ঘরের ভিতরে। আর রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু স্মৃতি ।

Previous articleভারতে সাইবার হামলার পরিকল্পনা ছিল চিনা নাগরিক হানের, দাবি বিশেষজ্ঞদের
Next articleউচিত শিক্ষা? জলমগ্ন রাস্তায় ঠিকাদারকে বসিয়ে গায়ে আবর্জনা ফেলার নির্দেশ দিলেন বিধায়ক