গ্রিন করিডোরে শিশুকন্যাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলেন ওসি সৌভিক

গ্রিন করিডোরে শিশুকন্যাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলেন ওসি সৌভিক
সৌভিক চক্রবর্তী

ফের গ্রিন করিডোর করে ছোট্ট রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police)। উদ্যোগে তিলজলা (Tiljala) ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী (Souvik Chakraborty)।

শনিবার, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে (Control Room) খবর আসে, আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাত বছরের এক শিশুকন্যার কোভিড (Covid)-পরবর্তী গুরুতর জটিলতা দেখা দিয়েছে। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বেশিক্ষণ শিশুটিকে হাসপাতালের বাইরে রাখা নিরাপদ ছিল না।

আরও পড়ুন-উপলক্ষ্য জামাইষষ্ঠী: সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিল নবান্ন

এই পরিস্থিতিতে চরম উদ্বিগ্ন বাবা-মা যোগাযোগ করেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। সেই খবর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে যায় তিলজলা ট্রাফিক গার্ডে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন ওসি সৌভিক চক্রবর্তী। কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের সমন্বয়ের তৈরি হয় গ্রিন করিডোর। আলিপুর থেকে বাইপাসের ধারের হাসপাতালে ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে যায় মাত্র ১৫ মিনিটে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন উদ্বিগ্ন বাবা-মা। সৌভিক চক্রবর্তীর এই সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে শিশুটির পরিবার। তবে সৌভিকের মতে, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। আর রোজকার কাজের মাঝে এই ধরনের কাজ করতে পারলে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাহায্য করতে পারলে- অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি হয় বলে জানান সৌভিক। এর আগেও রাস্তায় বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের এই ওসি। কখনও সদ্য প্রসূতিকে, কখনও মরণাপন্ন রোগীকে গ্রিন করিডোর করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া অথবা হতদরিদ্র মানুষের শেষ সম্বলটুকু খুঁজে তার হাতে তুলে দেওয়া- এসব কাজের জন্য বারবারই খবরের শিরোনামে এসেছে তাঁর নাম। যদিও এসব কথা শোনার পর সৌভিকের একটাই উত্তর, “ইটস মাই ডিউটি”।

Previous articleউপলক্ষ্য জামাইষষ্ঠী: সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর দিল নবান্ন
Next articleচলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে মৃত ১