Saturday, August 23, 2025

এখন প্রেমের সাগরে ভেসে চলেছেন শোভন বৈশাখী (shovon and baisakhi) । দুজনেই এখন বন্ধু সম্পর্কটিকে গভীর থেকে গভীরতর বন্ধনে বাঁধতে চাইছেন। কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক (ex mayor of Kolkata) তাঁর প্রিয়তম বান্ধবী বৈশাখীকে শুধু নিজের নাম টুকুই দিলেন না।  সঙ্গে দিলেন সম্পত্তিও। নিজের সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে উইল করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। একটি ভিডিয়ো বার্তায় শোভনকে বলতে শোনা যায়, “বৈশাখীকে আমি স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি দান করলাম। পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিও বৈশাখীকে দিলাম।”শুধু তাই নয়, জানা গেছে শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, বেহালার যে বাড়িতে বর্তমানে রত্না চট্টোপাধ্যায় থাকেন, অর্থাৎ তাদের বসতবাড়িটি, সেই বাড়িটিও বৈশাখীর নামে লিখে দেওয়ার কাজে এগোচ্ছেন তিনি। তাঁর অবর্তমানে বৈশাখী ওই সমস্ত সম্পত্তি পাবেন এমন নয়, এখন থেকেই তাঁর সমস্ত কিছুর অধিকারিণী বৈশাখী বলে জানিয়ে দেন শোভন। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির শুধু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নয়, সব কিছু লিখে দিয়েছি বৈশাখীকে। আমার অবর্তমানে নয়, এখন থেকেই সবকিছুর অধিকারিণী বৈশাখী।’’ ফলে শোভন-রত্না-বৈশাখী পর্ব যে আরও সাড়া ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য।

এদিকে এদিনই তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তার টুইটার হ্যান্ডেল একটি বার্তা পোস্ট করেন। “গ্ল্যাক্সোবেবি কি নিজের পদবি ছেড়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পদবি নিল নাকি? জামাইষষ্ঠীর দিন ডামি-জামাইয়ের এমন পদবিত্যাগ ও ফুলটুসিকে সম্পত্তিদান (?) সার্কাসের এক অপূর্ব ইভেন্ট।” যদিও তিনি নিজে টুইট বার্তায় কারও নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু উদ্দেশ্য যে শোভন-বৈশাখী ত নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে কুণাল একটি প্রশ্ন রেখেছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় বারবার তার ভিডিও বার্তায় বলেছেন বৈশাখী সুখে-দুখে তাঁর পাশে ছিলেন । তাঁকে সাহচর্য দিয়েছেন। তাই তিনি বৈশাখীকে এই ‘বিনিময় মূল্য’ উপহার দিলেন। এখন প্রশ্ন হল সম্পর্কটি যদি ভালোবাসার মজবুত মিনারে তৈরি হয় তাহলে সেখানে ‘বিনিময় মূল্য’ কি প্রয়োজন? প্রকৃত ভালোবাসায় তো কোনও ক্রয় বিক্রয় বা বিনিময় প্রথা চলে না? তাহলে এখানে কিসের বিনিময় মূল্য, যে শোভনকে নিজের স্ত্রী সন্তানদের বঞ্চিত করে সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখীীর নামে করে দিয়ে ঋণ শোধ করতে হবে?

যদিও মঙ্গলবার মধ্যরাতের এই সব সম্পত্তি হস্তান্তরের ঘটনাকে একেবারেই আমল দিতে নারাজ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দু’জনেই রাঁচির পাগলা গারদ থেকে ছাড়া পেয়ে এসেছে। এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। এই কাণ্ড বাংলার মানুষ দেখছে। আমার এসব নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই। ওরা যা পারে করুক। আমার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তাও নেই। ভাবনাও নেই। দুঃখ নেই।

প্রিয়তম পুরুষ শোভনকে পাশে বসিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতেই ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শোভন এখন ফেসবুকে অতটা অ্যাক্টিভ নয়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেকটা দূরে। আজ থেকে আমার এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটাকে আমার আর ওর দুজনের অ্যাকাউন্ট করে দিলাম। ও আমাকে সব অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকারেই করলাম। ওর পদবিটা রত্না চট্টোপাধ্যায় ব্যবহার করুন, আমার কিছু আপত্তি নেই। সেটা ভালোবেসে ব্যবহার করুন বা দাগ ঢাকতে ব্যবহার করুন, আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি ব্যানার্জি পদবিটা জন্মগত অধিকারে ব্যবহার করি। কিন্তু শোভন নামটা ব্যানার্জি আর বৈশাখীর মধ্য নিয়ে এলাম।”

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...
Exit mobile version