হারাল রক্ষাকবচ, টুইটারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় যে কোনও ফৌজদারি মামলা করা যাবে!

টুইটার

কেন্দ্রীয় সরকার-টুইটার সংঘাত। হারল টুইটার। হারাল রক্ষাকবচ। আইটি আইনের ৭৯ নম্বর ধারায় টুইটার আইনি রক্ষাকবচ পেত। এই ধারায় টুইটারকে কোনও রকম আইনি ব্যবস্থা, মানহানি বা জরিমানা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের নিয়ম না মানায় আইনি রক্ষাকবচ খারিজ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সরকারি গাইডলাইন এখনও পর্যন্ত মানেনি তারা মধ্যস্থতাকারী স্বত্বা হারাবে। এবার থেকে টুইটারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় যে কোনও ফৌজদারি মামলা করা যাবে।

আরও পড়ুন-জয় দিয়ে ইউরো কাপের অভিযান শুরু করল পর্তুগাল, জোড়া গোল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর

ধারা ৭৯ অনুযায়ী, এতদিন কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তৃতীয় পক্ষের কোনও তথ্য, বা কমিউনিকেশন লিংক পোস্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যেত না। কিন্তু এবার থেকে তা করা যাবে। পাশাপাশি টুইটারের বিরুদ্ধে মামলাও করা যাবে। সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগেই মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের আইনি রক্ষাকবচ কেড়ে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টুইটারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতেই যোগী প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও পুলিশ টুইটার ছাড়াও আরও ৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে।

আরও পড়ুন-জিএসটি: অমিতের কণ্ঠরোধের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ নির্মলার

সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একমাত্র টুইটারই নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের শর্তপূরণ করেনি। যে নীতি অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভান্স অফিসার-সহ ভারতের জন্য একাধিক আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। প্রথম থেকেই সেই নয়া নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে ট্যুইটার। গত ৫ জুন কেন্দ্রের ‘চূড়ান্ত’ নোটিশের পর অবশ্য সুর নরম করে মাইক্রো ব্লগিং সাইট। নয়া নীতি মেনে চলা হবে বলে জানানো হয়।

Previous articleজয় দিয়ে ইউরো কাপের অভিযান শুরু করল ফ্রান্স
Next articleবিয়েতেও উলটপুরাণ, বরের বেশে কনে এল বিয়ের মণ্ডপে!