উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি ঘিরে প্রশ্ন, উত্তর দিলেন মহুয়া দাস

ফাইল ছবি

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি শুক্রবারই ঘোষণা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ২০১৯-র মাধ্যমিকের ৪টি বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বরের ৪০ শতাংশ, ২০২০-র একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার ৬০ শতাংশ নম্বর, সেইসঙ্গে দ্বাদশের প্রজেক্ট-প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর যুক্ত করে উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে। আরও বলা হয়েছে, দ্বাদশের প্রজেক্টের ২০ নম্বর, প্র্যাক্টিক্যালের ৩০ নম্বর ধরে মূল্যায়ন হবে। মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পর বসা যাবে পরীক্ষায়। পরীক্ষায় বসলে, সেই পরীক্ষার রেজাল্টই চূড়ান্ত বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সংসদ। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকারা প্রশ্ন তুলেছেন, এই একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক ফলাফল থেকে ৬০ শতাংশ নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে।

গত বছরের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের নম্বর ইতিমধ্যেই সংসদে পাঠিয়েছে বিভিন্ন স্কুল। গত বছরেও অতিমারি পরিস্থিতির কারণে একাদশ শ্রেণির একাধিক বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পারেনি স্কুলগুলি। বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার জেরে সেই বিষয়গুলির কোনও নম্বরও দিতে পারেনি স্কুলগুলি। তাই সেই বিষয়গুলির মূল্যায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা।

এই বিষয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, ‘গতবার করোনা পরিস্থিতির কারণে উচ্চ মাধ্যমিকের বেশ কিছু বিষয়ের পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীরা দিতে পারিনি। সেই বিষয়গুলো নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যে ফর্মুলা ব্যবহার করেছিলাম ঠিক একইভাবে একাদশ শ্রেণিতে যে বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া যায়নি সেই বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও এইভাবেই নম্বর দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন-জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য: মৃত আসলে জীবিত!

এ ক্ষেত্রে ২০২০ উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়ারা  যে বিষয়ে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছিল, সেই নম্বরটি পরীক্ষা না হওয়া বিষয়গুলিতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ঠিক একইভাবে এই ফর্মুলা ব্যবহার করা হবে বলে খবর সূত্রের।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ উচ্চ মাধ্যমিকের মতো একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রেও ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন, অ্যাকাউন্টেন্সি, কেমিস্ট্রি, ইকোনমিক্স, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্শিয়ান, আরাবিক, ফ্রেঞ্চ, স্ট্যাটিসটিকস, জিওগ্রাফি, কস্টিং অন্ড ট্যাক্সেশন, হোম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলির পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। আর তাই এই বিষয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে পাঠাতে পারেনি বিভিন্ন স্কুল।

Previous articleসাউদাম্পটনের মাটিতে মিলখা সিংকে শ্রদ্ধা জানাল টিম ইন্ডিয়া, শুরুতেই উইকেট হারাল বিরাট বাহিনী
Next articleবেহালায় একাকী প্রৌঢ়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু