ভোটে হেরে সিপিএমের সেই একই আত্মসমালোচনা, মানুষের মন বুঝতে পারিনি

ভোটে হার, এবং প্রতিবারই একই আত্মসমালোচনা। রবিবার সিপিএম (CPIM) রাজ্য কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে ভোট বিপর্যয়ের রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেই রিপোর্টের একদিকে রয়েছে আত্মসমালোচনা, অন্যদিকে দলের নেতাদের আড়াল করার চেষ্টা।

সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (sitaram yechuri) এদিন দলের খসড়া রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টের মূল বিষয় ছিল একুশের বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের কারণ। সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে…

১. মানুষ সংযুক্ত মোর্চার জোটকে গ্রহণ করেনি

২. আইএসএফের (ISF) সঙ্গে জোটও মানতে পারেননি মানুষ

৩. বাম সমর্থকদের মনও বুঝতে পারেনি দল। তাঁরা শুধু বাম নয়, জোটকেই ভরসা করেননি

৪. বামেদের ভোট চলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) বাক্সে

৫. বিজেপিকে (BJP) রুখতে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই শক্তিশালী ভেবেছে

৬. পরাজয়ের দায় শুধু সম্পাদকমণ্ডলীর নয় রাজ্য কমিটির (cpm state committee) সকলের

প্রত্যেক নির্বাচনে পরাজয়ের পর একই বিশ্লেষণ দেখা যায় সিপিএমের। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু লক্ষ্যণীয় হলো হারের দায় সম্পাদকমণ্ডলী থেকে সরিয়ে এনে রাজ্য কমিটির সকলের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। এর মূল কারণ হলো আইএসএফের সঙ্গে জোটের জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয় মহম্মদ সেলিমকে। দলের বৈঠকে জোটের সিদ্ধান্ত না হয়ে তা কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেন বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ, জোট শরিকদেরও। সেই দায় থেকে বাঁচতেই সিপিএমের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে যাচ্ছে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের খবর।

২০১৬-র ভোট বিপর্যয়ের পরেও কার্যত প্রায় একই রিপোর্ট পেশ করেছিল সিপিএম। এবার যোগ শুধু একটি পয়েন্ট, সিপিএমের ভোট চলে গিয়েছে তৃণমূলে। থোড়বড়িখাড়া। সিপিএম আছে সিপিএমেই।

Advt

 

Previous articleমিলখা সিং এর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসল পাকিস্তানেও
Next articleসংযুক্ত মোর্চা ভেঙে গিয়েছে, কার্যত বুঝিয়ে দিল সিপিএম