জ্ঞানেশ্বরী (Gyaneswari) দুর্ঘটনা কাণ্ডে মৃতের জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনা হার মানাচ্ছে বলিউডের চিত্রনাট্যকেও। অভিযুক্ত অমৃতাভ চৌধুরীকে (Amritabha Chowdhury) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সামনে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর তার মধ্যেই আরেকটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তা হল, অমৃতাভ চৌধুরী বলে যে দেহটি সৎকার করা হয়েছিল, সেটি কার? এই পরিস্থিতিতে উঠে এসেছে হাওড়ার (Howrah) আটা পরিবারের দাবির বিষয়টি।
2010-এর ওই জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ আটা (Prasenjit Aata)। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ। রেলের কাছে বারবার দরবার করেছেন স্ত্রী জ্যোতিকা (Jyotika)। ডিএনএ (Dna) পরীক্ষার কথা হয়েছে। জ্যোতিকা আটার দাবি, তাঁরা দেহ কিছুটা শনাক্ত করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, অন্য আরও কয়েকটি জনের মতোই প্রসেনজিৎ আটাও নিখোঁজ। এতগুলো বছর ধরে কোনও আর্থিক সাহায্য পায়নি পরিবার। একমাত্র কন্যাকে নিয়ে লড়াই করে চলেছেন জ্যোতিকা। দেহ না পাওয়ায় মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেট। ফলে প্রসেনজিতের সঞ্চয় পেতেও সমস্যায় পড়েছে পরিবার।
আরও পড়ুন:কথা রাখলেন মমতা: পুজোর আগেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
এই পরিস্থিতিতে অমৃতাভর ঘটনা সামনে আসায় এখন আটা পরিবারের দাবি, ওই দেহটি হয়তো প্রসেনজিতের ছিল। ফের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছেন তাঁরা। জীবিত হয়েও ভুয়ো নথি দেখিয়ে একজন ‘মৃত’ বলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, বোনের চাকরি সবকিছু পেয়েছে। অথচ আর এক পরিবার এখনও অন্ধকারে।