বাংলার প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দুর্বলের চেষ্টা কেন্দ্রের: আলাপনকে চিঠি প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

প্রতিহিংসামূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বাংলার প্রশাসনকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই কারণেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Bandyopadhyay) কেন্দ্রের কড়া চিঠি। প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রের চার্জশিট দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করল তৃণমূল। মঙ্গলবার, সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল (Tmc) সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray) বলেন, আলাপনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে। বৈঠকে না থাকায় আলাপনের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Bandopadhyay) রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান। এ বিষয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ হাস্যকর। যা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই হচ্ছে। সৌগত বলেন, কোনও আমলাকে ডাকতে হলে রাজ্য সরকারের মত নিতে হয় কেন্দ্রকে। রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের (Sukhendushekhar Ray) অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বাংলার প্রশাসনকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অবসরপ্রাপ্ত আমলার বিরুদ্ধে এভাবে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা যায় না। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ না থাকলে এভাবে শোকজও করা যায় না। এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকুক কেন্দ্র। বাংলায় হারের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এই ধরনের পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করেন সুখেন্দুশেখর রায়। এটি কেন্দ্রের বেআইনি পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন-উদ্বেগ বাড়িয়ে মধ্যপ্রদেশ ছাড়াও আরও দুই রাজ্যে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির হদিশ

৩১ মে মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরির মেয়াদ তিন মাস বাড়াতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার। তাতে সিলমোহর দিয়েছিল কেন্দ্র। এরপরে ইয়াস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে রিপোর্ট দিয়ে চলে আসেন আলাপন। সেই সন্ধেতেই তাঁকে চাকরির অতিরিক্ত মেয়াদের সময়টা দিল্লির কর্মিবর্গ মন্ত্রকে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। এর তীব্র বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। শেষ পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত দিনে অবসর গ্রহণ করেন আলাপন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়। এর পরেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজের চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই চিঠির জবাবও দেন তিনি। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র। সোমবার তাঁকে ফের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে, তিনি সশরীরে এই তদন্ত প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হবেন কি না। জবাব না এলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রের চিঠিতে। প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে পাঠানো কেন্দ্রের নতুন কড়া চিঠি নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগ শাসকদলের।

 

Previous articleলর্ডসে অভিষেক টেস্টে মহারাজের শতরানের ২৫ বছর
Next articleআসিফকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু,খুনের পর কেমিক্যাল ব্যবহার ?