অসমে এনআরসি জালিয়াতি কাণ্ডে প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর

বিশেষ প্রতিনিধি, গুয়াহাটি:

অসমে এনআরসি (NRC) প্রক্রিয়ার প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের হল ৷ এমনই জানিয়েছেন অসম পাবলিক ওয়ার্কের সভাপতি অভিজিৎ শর্মা ৷ তিনি জানিয়েছেন, একই সঙ্গে প্রতীক ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর নামেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে এনআরসি ফ্যামিলি ট্রি যাচাইয়ের কাজে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে ৷

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৷ উদ্দেশ্য ছিল উত্তর পূর্ব ভারতের এই সীমান্তবর্তী রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা ৷ ২০১৯-এর ৩১ অগস্ট এই প্রক্রিয়া শেষ হয় ৷ এরপরই দেখা যায় যে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে ৷
সেই সময় থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করে, অনেক বৈধ নাগরিকের নাম বাদ পড়েছে ৷ এই নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয় ৷ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তোলে ৷ সেইসময় বিজেপি জোর করে কিছু মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে চায় বলেও অভিযোগ ওঠে ৷
এনআরসি-র এই পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিলেন প্রতীক হাজেলা ৷ কিন্তু তিনি এই কাজে কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগ করেন অসমের পাবলিক ওয়ার্কসের সভাপতি অভিজিৎ শর্মা ৷ তিনি এই নিয়ে অসম সিআইডির অতিরিক্ত ডিজিপির কাছে অভিযোগ জানান ৷ সেখানে তিনি দাবি করেন , প্রতীক হাজেলার সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত কিছু আধিকারিক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতা ৷
এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে ৷ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে অসমের এনআরসি প্রক্রিয়ায় যদি জালিয়াতি হয়ে থাকে, তাহলে যাঁদের নাম বাদ পড়ল, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে ? তাঁদের বিষয়টি কি আবার খতিয়ে দেখা হবে ? আর যদি কারও নাম ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এনআরসি-তে থেকে যায়, তাহলে সেই নাম কীভাবে খুঁজে বের করা হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরই এখন সরকারের কাছে চাইছেন অসমের বাসিন্দারা ।

Previous articleনিউটাউনে এনকাউন্টার: আবাসনগুলির নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকল HIDCO
Next articleজোটে ভরসা নেই, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ‘একলা চলো’ নীতি অখিলেশের