মারণ করোনা পরিস্থিতির(covid situation) জেরে বেশিরভাগ রাজ্য বাতিল করেছে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা। তবে সে পথে না হেঁটে করোনা পরিস্থিতির সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসতেই দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার(Andhra Pradesh government)। পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা না ভেবে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করল দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যদি একজন পড়ুয়ারও মৃত্যু হয় তবে তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকার।’ একই সঙ্গে এই ধরনের ঘটনায় ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিলের আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সেখানকার অভিভাবকরা। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি এএম খানবালিকর ও বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চে। আদালতে তরফে জানানো হয়, “করোনা পরিস্থিতির কারণে যখন বাকি সমস্ত বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে, তখন অন্ধ্র প্রদেশ কেন ব্যতিক্রম হতে চাইছে? বাস্তব পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই বোর্ডগুলি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশে নতুন একটি ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে, ডেল্টা প্লাস। এই ভ্যারিয়েন্টে কতটা সংক্রামক, তা আমরা জানি না। এই পরিস্থিতিতে কীসের উপর ভিত্তি করে এবং কে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।” পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনায় মৃতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা অন্ধপ্রদেশের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম জারি রাখতে পারি কারণ একজন পটুয়ার মৃত্যু হলে তার জন্য রাজ্য সরকার দায়ী থাকবে।”

যদিও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফে মঙ্গলবার আদালতকে জানানো হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি বিচার করে সমস্ত বিধিনিষেধ নেই পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৮ জনের বেশি পড়ুয়াকে বসানো হবে না। পাল্টা আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, যদি একটি কক্ষে ১৫ থেকে ১৮ জন পড়ুয়াকে বসানো হয়, তবে মোট পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩৪ হাজার ৬৩৪টি কক্ষের প্রয়োজন পড়বে। এত সংখ্যক রুমের বন্দোবস্ত কোথা থেকে করবে বোর্ড? এর উত্তরে অবশ্য রাজ্য জানায়, ইতিমধ্যেই ৩৪ হাজার কক্ষ চিহ্নিত করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। তারাও পরীক্ষার ডিউটি করতে রাজি।
