Thursday, August 28, 2025

কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসছে কেউটে! ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের নেটওয়ার্ক কতটা বিস্তার লাভ করেছিল, তা নিয়ে ঘুম ছুটেছে লালবাজারের (Lalbazar) দুঁদে গোয়েন্দাদের (Detective)। সাংসদ মিমি থেকে বিধায়ক লাভলি, কাউন্সিলর, স্থানীয় নেতা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী, পুলিশ, আমলাদেরও ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

দেবাঞ্জন দেব। পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে, কসবার মতো আরও অনেক ভুয়ো ভ্যাকসিনের ক্যাম্প করেছিল দেবাঞ্জন। সেইসব ক্যাম্প থেকে প্রায় ২ হাজার জন মানুষের ভ্যাকসিন হয়েছিল।

কিন্তু একা দেবাঞ্জনের পক্ষে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এমন বড় বড় কুকীর্তি কি করা সম্ভব ছিল? তারই সূলুক সন্ধান করতে গিয়ে কসবার টিকা জালিয়াতি কাণ্ডে পরতে পরতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা শুরু থেকেই নিশ্চিত, এই ধরনের দুঃসাহসিক প্রতারণা, জালিয়াতি কেউ একা করতে পারেন না। এর পিছনে বড় চক্র রয়েছে। প্রচুর অর্থের যোগান রয়েছে। আর সেই চক্রের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের স্ক্যানারে উঠে এল দেবাঞ্জনের মহিলা সঙ্গিনীর নামও। কসবার পাশাপাশি আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজেও দেবাঞ্জন যে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প করেছিলেন, সেখানেই ছিলেন ওই মহিলা।

কিন্তু কে এই মহিলা? কী তার পরিচয়?

আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজে যে ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প করেছিলেন দেবাঞ্জন, সেখানে ওই মহিলার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে সিটি কলেজের ক্যাম্পে ঘোরাফেরা করছিলেন ওই মহিলা। ভ্যাকসিনের বিষয়টি তদারকিও করছিলেন। এবং নিজেকে ডব্লুবিসিএস অফিসার বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন।

সেদিন সিটি কলেজের ওই ক্যাম্পে থাকা এক পড়ুয়ার কথায়, ক্যাম্পে ওই মহিলা দাপটের সঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলেন। আমাদের আগেই বলেছিলেন কোনও ছবি তোলা যাবে না। এমনকী আমাদের কলেজের এক জুনিয়র ছবি তুলতে যাওয়ায় ওর গায়ে হাত পর্যন্ত তোলেন। বেশি কথা বললে লালবাজারে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন ওই মহিলা।” ফলে বিষয়টি নিয়ে কেউ আর নাড়াচাড়া করেনি। কিন্তু এখন দিনের আলোর মতো পরিস্কার, নিজেদের জালিয়াতি গোপন করতেই ভুয়ো IAS ও তার সঙ্গিনী সবকিছু রাখঢাক করেই করতো।

আরও পড়ুন:শিয়ালদহ ডিভিশনে বাড়ল স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version