ঝুঁকিপূর্ণ সাহসী লড়াইয়ের সেনাপতি অভিষেককে কুর্নিশ জানিয়ে গান বাঁধলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) রাজ্যের শাসক দলের পক্ষে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যদি “ঝাঁসির রাণী” হন, তাহলে তৃণমূলের (TMC) অসামান্য কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার অবশ্যই “যুবরাজ” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek Banarjee)। প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, কুৎসা, কেন্দ্রের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে জোরদার এবং ঝুঁকিপূর্ণ সাহসী লড়াই করে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদ দখল করেছে তৃণমূল। ফের মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। আর তাঁর হাতকে শক্ত করেছেন অভিষেক। এবার তাই অভিষেকের সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে গান বাঁধল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। যেখানে অভিষেককে “বাংলার যুবরাজ” বলে অভিহিত করা হয়েছে। গানের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে তুলে ধরা হয়েছে “যুবরাজ” অভিষেকের সাহসী লড়াইকে। যেখানে লেখা হয়েছে, “গরিবের ভগবান, নারীদের সম্মান তোমার সাথে জড়িয়ে/বিপদের দিনে পেয়েছি তোমায় পাশে, দিয়েছ দু-হাত বাড়িয়ে।” এই গানে মমতার সবচেয়ে যোগ্য সৈনিককে”সবুজ সেনাপতি’ বলেও সম্মান জানানো হয়েছে।

গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “এবার ভোটের আগে আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন দু’জন। একজন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরেকজন ছাত্র-যুবর জনপ্রিয় নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সকলেই নির্বাচনের প্রচারে এসে তোলাবাজি ভাইপো বলে আমাদের যুবনেতাকে আক্রমণ করেছেন। হুমকি দিয়েছে। তাঁর পরিবারকে নিয়ে কুৎসা করেছেন। কিন্তু কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। এই ভাইপোর জন্য আমরা গর্বিত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন, বাংলার রক্তে আজও মিশে আছে সুভাষের তরুণের স্বপ্ন। আজও বাংলার যুবসমাজ স্বামীজীর পথেই হাঁটে।”

এখানেই শেষ নয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, “স্বাধীনতার ৮০ বছর পর, বাংলার পলিমাটি থেকে আবার আমাদের তরুণ দাদা আওয়াজ তুলেছেন – “দিল্লী চলো”। আমাদের প্রিয় দাদার দেখানো পথই আমাদের আগামীর মাইলস্টোন। ওরা যতোই কুৎসা করুক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র-যুবকে উদ্বুদ্ধ করেছে।” আর তাই অভিষেককে সম্মান জানাতে এবার গান বাঁধল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যার স্রষ্টা কেশব দে।

Previous articleইয়াসের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত তাজপুর, মন্দারমণি পরিদর্শনে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন
Next articleসাংসদ অভিষেককে খোঁচা দিয়ে তদন্তের মুখে টিভি চ্যানেল