সাংসদ অভিষেককে খোঁচা দিয়ে তদন্তের মুখে টিভি চ্যানেল

তাঁর বিরুদ্ধে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলা খারিজ করার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টাইমস-নাও চ্যানেলের এডিটর-ইন-চিফ রাহুল শিবশঙ্কর৷

সেই আর্জিতে সাড়া না দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল শিবশঙ্করকে৷ তবে সাম্প্রতিক অতিমারি পরিস্থিতিতে সরাসরি হাজিরার পরিবর্তে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে পারবেন
রাহুল শিবশঙ্কর৷ পাশাপাশি বিচারপতি কৌশিক চন্দ নির্দেশে বলেছেন, প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থাও আগাম ৪৮ ঘন্টার নোটিশ দিয়ে দিল্লি গিয়েও রাহুল শিবশঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে৷

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে, গত ৪ এপ্রিল, টাইমস-নাও চ্যানেলের টুইটার হ্যাণ্ডলে
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর এবং মানহানিকর একটি অডিও-টেপ সম্প্রচার করা হয়৷ ওই অডিও-টেপে দুই ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যায়৷ সেই অডিও-টেপেই এ ধরনের আপত্তিকর এবং বিতর্কিত মন্তব্য শোনা যায়৷ অথচ ওই সম্প্রচারেই জানানো হয়, অডিও-টেপের বক্তব্যের দায় টাইমস-নাও চ্যানেলের নয়৷
ওই মানহানিকর সম্প্রচারের বিরুদ্ধে FIR করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ FIR-এ বলা হয়, ভোটের মুখে পরিকল্পিতভাবেই ‘টাইমস নাও’ এই অডিও-টেপ সম্প্রচার করেছে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে৷, যাতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যায়৷ এই FIR-এর ভিত্তিতে মামলাও হয় আলিপুর কোর্টের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে৷ আদালত টাইমস-নাও চ্যানেলের এডিটর- ইন- চিফ রাহুল শিবশঙ্করকে ফৌজদারি আইনের ৪১এ ধারা অনুসারে নোটিস দেয়৷
এর পরেই রাহুল শিবশঙ্কর হাইকোর্টে আবেদন করেন ওই FIR এবং মামলা খারিজের দাবি জানিয়ে৷ এদিন বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে রাহুল শিবশঙ্করের কৌঁসুলি দেবাশিস রায় মামলা খারিজের আবেদন জানান৷ রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় বসু এই আর্জির জোরালো সওয়ালে বিরোধিতা করেন৷

দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি কৌশিক চন্দ ফৌজদারি আইনের ৪১এ ধারা অনুসারে তদন্তের মুখোমুখি হতে নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল শিবশঙ্করকে৷

 

 

Previous articleঝুঁকিপূর্ণ সাহসী লড়াইয়ের সেনাপতি অভিষেককে কুর্নিশ জানিয়ে গান বাঁধলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
Next articleগড়বেতা-শালবনির উন্নয়নে রিভিউ কমিটি গড়লেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া