নারদ অভিযুক্তের সঙ্গে তুষার মেহতার বৈঠক কেন? গর্জে উঠলেন কুণাল

নারদ মামলায়(Narada case) ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়দের গ্রেফতারের ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ওই ঘটনায় নারদ কান্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর বিজেপির প্রভাব খাটানোর অভিযোগ বারবার তুলেছে তৃণমূল। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার নারদ মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার(Tushar Mehta) সঙ্গে বৈঠক করলেন নারদ অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর টুইটারে সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। নাম না করে শুভেন্দুর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি লিখলেন, ‘বিজেপি মধ্যস্থতা করে বাঁচাচ্ছে? অবিলম্বে অভিযুক্তের গ্রেফতার চাই।’

নারদ মামলার আইনজীবী তুষার মেহতার সঙ্গে নারদ মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাতের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার টুইটারে রীতিমতো গর্জে ওঠেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লেখেন, “নারদ কেলেঙ্কারির এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তি সিবিআইয়ের আইনজীবী (SG) তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন? বিজেপি মধ্যস্থতা করে বাঁচাচ্ছে? অবিলম্বে সেই অভিযুক্তের গ্রেপ্তার চাই।” তবে এই টুইটে কারও নাম নেওয়া না হলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না অভিযোগের আঙুল সরাসরি শুভেন্দু দিকেই তুলেছেন কুণাল ঘোষ।

পাশাপাশি এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুনাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন, এরপর নারদ মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করতে গেলেন। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সলিসিটর জেনারেলের কী সম্পর্ক থাকতে পারে? এটা স্পষ্ট যে নিজের গ্রেফতারি এড়াবার জন্য কী কী কৌশল হতে পারে বিজেপি তা মধ্যস্থতা করে সাজিয়ে দিচ্ছে। আইনের কী কী ফাঁক তৈরি করা যায় সেই জন্য শুভেন্দু অধিকারী সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করলেন কিনা, এটা সবথেকে বড় প্রশ্ন। নারদ মামলার এফআইআর-এ যাঁর নাম রয়েছে, যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গ্রেফতারি এড়াবার জন্য তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করছেন এটা কোন দেশী আইনি নিরপেক্ষতা চলছে? তুষার মেহতার সঙ্গে কেন এই সময় একজন এফআইআর নেমড বৈঠক করলেন? এই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। বাকিদের হ্যারাস করা হলেও শুভেন্দু অধিকারীকে কীভাবে আইনের ফাঁক দিয়ে বাঁচিয়ে আনা যায় তার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেই ব্যাপারেই আমি প্রশ্ন তুলেছি।”

 

Previous articleঅগাস্টের মাঝামাঝিতে শুরু হচ্ছে কলকাতা লিগ, জানাল আইএফএ
Next articleনন্দীগ্রাম ভোটে কারচুপি! নথি দেখিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের