সংঘাতের বাতাবরণেই আজ শুরু বিধানসভা অধিবেশন, দলীয় বিধায়কদের হাজিরায় হুইপ তৃণমূলের

বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election) পর আজ, শুক্রবার প্রথম অধিবেশন বিধানসভায়। এবার বাজেট অধিবেশন (Budget Session) দিয়েই শুরু হচ্ছে অধিবেশন। যেখানে দুপুর ২টোয় রীতি মেনে প্রারম্ভিক ভাষণ দেওয়ার কথা রাজ্যপাল (Govornor) জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar)। তার আগে ১টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে বিধানসভার আসন গ্রহণ করার জন্য দলীয় সব বিধায়ককের (MLA) উপর হুইপ জারি করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বাজেট অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতেও উপস্থিত থাকতে হবে সমস্ত বিধায়ককে। বিধানসভা সূত্রে খবর, আজ দুপুর ১টা ৫০ মিনিট থেকে ১টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে বিধানসভায় আসবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ঠিক দুপুর ২টোয় তাঁর ভাষণ।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৯২টিতে ভোট হয়েছিল। যেখানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩টি আসনে জয়লাভ করে। খড়দহে কাজল সিং ও গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রয়াত হয়েছেন। তার আগে ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ফলে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা এখন ২১০। তাঁদের সকলকেই হাজির হতে বলা হয়েছে। অসুস্থতার কারণে অবশ্য বেশ কয়েকজন এদিন হাজির থাকতে পারবেন না বলেই জানা গিয়েছে।

রাজ্য-রাজ্যপাল তীব্র সংঘাতের বাতাবরণেই এবার শুরু হতে চলেছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদিত নবান্নের তৈরি করে দেওয়া খসড়া বয়ানে কোনওরকম বদল না ঘটিয়ে রাজ্যপালের প্রারম্ভিক ভাষণ ছাপা হয়েছে। ফলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ওই ভাষণই পড়া একপ্রকার নিশ্চিত। তবে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারবিরোধী কিছু কথা বলেন কি না, সেদিকে নজর থাকবে সকলের। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শাসকদলের বিধায়করা কী ভূমিকা নেন, তা নিয়ে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল শিবির। তাদের আশঙ্কা, রাজ্যপালের ভাষণ শুরু করার পরই বিজেপি বিধায়করা ভোটপরবর্তী সন্ত্রাসের ইস্যুতে হইচই জুড়ে দিতে পারেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যপাল পুরো ভাষণ না পড়েই বিধানসভা কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় থাকতে পারেন।

Previous articleখাদ্যের অধিকার রয়েছে পথ-কুকুরদেরও, বেনজির রায় দিল্লি হাইকোর্টের
Next articleনবান্নের ছাপানো ভাষণ, নাকি স্বতঃপ্রণোদিত বক্তব্য? বিধানসভায় আজ নজরে রাজ্যপাল