রাজ্য জুড়ে চলছে ভারী বর্ষণ। ফলে ভয়ঙ্কর জল বাড়ছে নদীতে। শুরু হয়েছে ভাঙন। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে কয়েক বিঘা জমি। রবিবার, এলাকা পরিদর্শন করেন অঞ্চল প্রধান। দ্রুত বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা না করলে বড়োসড়ো ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মালদহের (Maldah) হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফুলহার নদী। এই নদীর তীরে রয়েছে দৌলত নগর এবং ইসলামপুর (Islampur) গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভারী বর্ষণের ফলে ক্রমশ জল বাড়ছে নদীতে। আর তার ফলে গত তিন-চার দিন ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় চার বিঘা জমি। দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ না করলে বন্যার (Flood) কবলে পড়তে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে কয়েকটি গ্রাম। সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে ভয়ঙ্কর হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি। প্রবল আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।
ভাঙনের খবর পেয়েই এদিন এলাকা পরিদর্শন করতে যান দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নাজিবুর রহমান (Najibur Rahaman)। প্রধানের গলাতেও শোনা যায় আতঙ্কের সুর। তিনিও কার্যত মেনে নেন দ্রুত বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু না করলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কারণ বর্ষা এখনও বাকি। দিনের পর দিন জল বাড়ছে। তবে প্রধান আশ্বাস দেন তিনি প্রশাসনের উচ্চ স্তরে জানাবেন। নদী ভাঙনের হাত থেকে এলাকা বাঁচানোর জন্য যথা-সম্ভব ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাজিবুর রহমান বলেন, “নদী ভাঙনের খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলাম। পরিস্থিতি যথেষ্ট ভয়াবহ। দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু না করলে দৌলতনগর এবং ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু গ্রাম, তেল চান্না স্লুইসগেট, উত্তর-ভাকুরিয়া, দক্ষিণ-ভাকরিয়া, ভালুকা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে কৃষি কাজের। বন্যার কবলে পড়তে পারে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। আর বিধায়ক এবং সেচ দফতরকে জানাব। যাতে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হয় সেই ব্যবস্থা করব।”
তেলচান্না বাসিন্দা মহম্মদ নাসির বলেন, “চারদিন ধরে নদী ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যে কয়েক বিঘা জমি তলিয়ে গিয়েছে। এখন কাজ না শুরু করলে বহুগ্রাম ভেসে যাবে”।
আরও পড়ুন:দেশের অংশ বাদ দিয়ে ভারতের ম্যাপ! মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগেই বিতর্কে পুষ্কর