“ভোট পরবর্তী হিংসা” ইস্যুতে বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ বিরোধীদের, উন্নয়নের কথা বললো তৃণমূল

ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বিধানসভার (Assembly) অধিবেশন। আজ, মঙ্গলবার অধিবেশনে রাজ্যে “ভোট পরবর্তী হিংসা” ইস্যুতে সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা (BJP MLA) বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikary) নেতৃত্বে “ভোট পরবর্তী হিংসা” (Post Poll Violation) নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। মূলত, মুলতুবি প্রস্তাব আনার দাবি জানান তাঁরা। যদিও অধ্যক্ষ (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) অনুমতি দেননি। আর তাতেই অধিবেশন কক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভা অধিবেশনেরর শুরুতেই রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড়ের (Jaydeep Dhankar) ভাষণের উপর আলোচনা হওয়ার কথা। সেই আলোচনার আগেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ”ভোট পরবর্তী হিংসা” নিয়ে আগে আলোচনা চেয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। যদিও পরে অধ্যক্ষের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ থামান বিজেপি বিধায়করা। শুরু হয় রাজ্যপালের ভাষনের ওপর আলোচনা।

বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami) তাঁর বক্তব্যে রাজ্যকে একের পর এক ইস্যুতে কড়া সমালোচনা করেন। ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Dev) থেকে শুরু করে ভুয়ো ভ্যাকসিন (Fake Vaccine) কাণ্ড নিয়ে সরব হন মিহিরবাবু। পালটা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty) বিরোধী বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা বা আলোচনার রাস্তায় না হেঁটে প্রথম দিন থেকেই বিধানসভা অধিবেশনে অস্থিরতা তৈরি করছে বিজেপি বিধায়করা। দায়িত্বশীল বিরোধী ভূমিকা পালন করছেন না বিজেপি বিধায়করা। বিরোধীদের কুৎসাকে বিপুল ভোটে জিতে আসা এই সরকার গুরুত্ব দেবে না। এই সরকার মানুষের স্বার্থে উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করবে বলেই জানান স্নেহাশিসবাবু।

অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিধান পরিষদ (Bidhan Parishad) গঠনের প্রস্তাব পেশ করা হবে। প্রস্তাব পেশ করবেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

 

Previous articleহঠাৎ বাতিল মোদির বৈঠক, মন্ত্রিসভার রদবদল কি স্থগিত, উঠছে প্রশ্ন
Next articleদিল্লিতে তুষার মেহতার বাড়ির সামনে হঠাৎ কুণাল ঘোষ