ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানালো রাজ্য সরকার। এই আবেদন জানানো হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই এই নির্দেশিকা জারি করে হাইকোর্ট ৷ রাজ্যের আবেদনে বলা হয়েছে,

◾বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ একতরফা।
◾রাজ্যের কোনও বক্তব্য না শুনেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
◾জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে রাজ্য সহযোগিতা করেছে৷
◾কোনও কিছুই গোপন রাখেনি কমিটির কাছে।
◾কমিশনের প্রাথমিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করার সুযোগই পায়নি রাজ্য।
◾হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটিকে রাজ্যের বক্তব্যও জানতে হবে৷

এই আর্জির ভিত্তিতেই রাজ্য আদালতে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে৷ চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহত্তর বেঞ্চ গত ২ জুলাই কয়েক দফা নির্দেশ জারি করে৷ ওই নির্দেশে বলা হয়,

◾রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং আক্রান্ত হওয়ার পর যারা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অথবা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত NHRC-এর দলের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ম্যাজিস্ট্রেট- এর সামনে আইনের ১৬৪ ধারা অনুযায়ী জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার কথা জানাতে হবে৷ প্রতিটি ঘটনার FIR করতে হবে৷

◾ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত সব অভিযোগ পুলিশকে গ্রহণ করতে হবে

◾ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে যারা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার দায়িত্ব রাজ্যকে নিতে হবে৷

◾ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে যারা আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে৷

◾মৃত অভিজিৎ সরকারের দেহ কম্যাণ্ড হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করতে হবে।

◾ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত সব নথি সংরক্ষণ করতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে৷

◾যাদবপুরে NHRC-এর দলের উপর হামলার ঘটনায় জেলাশাসক বা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল কেন জারি করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে৷ আগামী ১৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷
