১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত রোড ট্যাক্স মকুব, ঘোষণা মমতার

সারা দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কোচন অথচ এ রাজ্যে উৎপাদন বেড়েছে, বাজেটের পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সপ্তাহে চার বার করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকেই রোজগার করেছে কেন্দ্রের। আসলে নরেন্দ্র মোদি সরকার মানুষের পকেট কাটছে আর নিজেদের পকেট ভরছে।
এলপিজির দাম এক বছরের মধ্যে ২৭৬ টাকা বেড়েছে। ৮৭৬ টাকায় সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। ১৪ মাসে ৪৭ শতাংশ দাম বেড়েছে। নির্বাচনের আগে উজ্জ্বলা যোজনা নিয়ে নাটক করতেন। গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় এলপিজি দেওয়া উচিত।পেট্রোল-ডিজেল থেকে এত রোজগার, তাও এ সব নিয়ে চিন্তাভাবনা নেই।

এদিন তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রকে চিঠি লিখে কোও লাভ নেই। ওঁরা জবাব দেন না। ইচ্ছাকৃতভাবে জবাব দেন না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে তবু হাতে সময় ছিল। কেন্দ্র ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটে দেখিয়েছিল। পিএম কেয়ার্সেও টাকা ছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র।
তিনি জানান, বাংলায় এখনও টিকার সমস্যা রয়েছে। অত টাকা কোথায় গেল। তৃতীয় ঢেউ আসছে, অথচ এখনও টিকা পাননি বহু মানুষ।
তিনি দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের কথা তুলে ধরে বলেন এই প্রকল্প হয়ে গেলে ১ লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের উপর জোর দেন তিনি।
তার অভিযোগ, ২০১৯-’২০ তেও রাজ্য বরাদ্দের ১১ হাজার কোটি টাকা পায়নি। আমাদের টাকা আমাদের দেওয়া হল না। তাছাড়াও ৩৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা এখনও পাওনা বাকি কেন্দ্রের থেকে।
তিনি জানান, ২০২০-’২১ এ বাংলার জন্য কেন্দ্র ৫৮ হাজার ৯৫২.৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু পেয়েছি ৪৪ হাজার ৭৩৭ কোটি ১ লক্ষ টাকা। ১৪ হাজার ২২৫ কোটি ৫৪ লক্ষ কোটি টাকা কম পেয়েছি।

স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড়ের পাশাপাশি ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত রোড ট্যাক্স মকুব করছে রাজ্য ।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বাজেট বরাদ্দ।
তিনি বলেন, আমফানে কেন্দ্রের কাছ থেকে ২২৫০ কোটি টাকার বেশি পাইনি। ইয়াসের পর ২১ হাজার কোটি টাকা চেয়েছিলাম, পেয়েছি মাত্র ৩০০ কোটি টাকা।
এত বঞ্চনা-বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রের তুলনায় বাংলা এগিয়ে বলে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী ।

কোভিড ম্যানেজমেন্টে ১৮৩০ কোটি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের খাতে ২৫০ কোটি, লক্ষী ভাণ্ডার (নারী ও শিশু উন্নয়ন) প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি, স্বাস্থ্য সাথী খাতে ১৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষায় মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮,৬৫০ কোটি।

Previous articleযুগের অবসান : কিংবদন্তি দিলীপ কুমারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড, স্মৃতিচারণায় অমিতাভ থেকে শাহরুখ
Next article‘ধোঁয়া উঠলে আগুন তো কোথাও লেগেছে’, ইস্তফার পরই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বাবুলের