ফের উত্তপ্ত বরাকর। দ্বিতীয় দিনেও কার্যত রণক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছিল এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে যান ডিসি অভিষেক মোদি (DC Abhishek Modi)। এদিন গোলমাল ছড়ায় গুজব থেকে। আর তার জেরেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়। এলাকায় সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন আসানসোল-দুর্গাপুর (Asansol-Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক মোদি এবং এসিপি কুলটি ওমর আলি মোল্লা (Omar Ali Mollah)। দুই শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
ছিনতাইয়ের অভিযোগে সোমবার রাতেই মহম্মদ আরমানকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তারপরে কীভাবে আরমান জেলা হাসপাতালে পৌঁছলেন ও তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে মঙ্গলবার দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গোটা বরাকর স্টেশন রোডের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবারের পরে বুধবারত বেলা গড়াতে ফের বিক্ষোভ শুরু হয় ওই এলাকায়। তবে আগের দিনে অভিজ্ঞতা থেকে সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। যান উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।