একে একে প্রকাশ্যে আসছে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলে পরিচয় দেওয়া সনাতন রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় সনাতন দাবি করেছেন, ২০১৮ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি হয়ে ব্রিকস সম্মেলনে গিয়েছিলেন। যে সম্মেলনে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা ছাড়াও সনাতন বিদেশের একাধিক দেশে গিয়েছেন বলে জেরায় দাবি করেছেন। সনাতনের আরও দাবি, ২০১৩ সালে তিনি ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে টোকিওয় ইন্দো-জাপান বিজনেস সামিটেও অংশ নিয়েছিলেন।
সনাতনের দাবি সত্যি হলে, কীভাবে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি হয়ে ব্রিকস সম্মেলনে গেলেন? কীভাবে অংশ নিলেন টোকিও-ইন্দো জাপান বিজনেস সামিটে? এই সমস্তটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে খোঁজ নেবে পুলিশ।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি এলজেপি-র টিকিটে দমদম কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে মাত্র ৫ হাজার ২৬৫টি ভোট পেয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় সনাতন জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি বরানগরে। বাবার নাম সুশান্ত রায়চৌধুরী। সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে এলজেপি-র টিকিটে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ২০১১-তে তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন-মমতার নন্দীগ্রাম মামলা ছাড়লেন বিচারপতি চন্দ, তবে বসালেন জরিমানা
অভিযোগ, সনাতন রায় চৌধুরী হাইকোর্টের রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের সদস্য, সিবিআইয়ের কৌঁসুলি, মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের উপদেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন সময় পরিচয় দিয়েছেন। নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতেন। এ ছাড়াও, ফেসবুকে স্পেশাল কাউন্সিল অব গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া, বার কাউন্সিল, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব জাস্টিস-এর সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। গড়িয়াহাটে বিপুল টাকার সম্পত্তি দখল করতে গিয়েই গ্রেফতার হন তিনি।