সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ: কিম- শি জিনপিংদের সঙ্গে এক সারিতে মোদি

‘ভারতের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই’। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের বিরুদ্ধে চাটুকারিতার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার তাতেই সীলমোহর দিল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (RSF)। সম্প্রতি তাদের প্রকাশিত তালিকায় যে ৩৭ টি দেশের রাষ্ট্র নেতার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে সেই তালিকায় উজ্জল নাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi)। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ১৮০ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান হয়েছে ১৪২ নম্বরে। এই তালিকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন, পাকিস্তানের ইমরান খান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মত শাসকরাও।

২০১৬ সালের পর ২০২১ সালে প্রকাশিত হল ফ্রান্সের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরএসএফের এই তালিকা। সংস্থার দাবি, মূলত সেই সকল দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নামের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে যারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করেন। সংস্থার কথায়, “শাসকের সমালোচনা বন্ধ করতে সেন্সরশিপ আইন তৈরি করে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে জেলে ভরা এবং তাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়। সর্বোপরি সাংবাদিকদের মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া।” এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২৬ মে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইনি একজন শিকারির(Predator) ভূমিকা পালন করেছেন। ভারতীয় সংবিধানের ‘সেকুলার’ নামক শব্দটিতে শুরু থেকেই আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছে বিজেপি। মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা থাকলেও পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হয়েছে বিদ্বেষ। শুধু তাই নয়, পরিকল্পিতভাবে মোদি বিরোধী মিডিয়া বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে প্রচার চালানো হয়।

আরও পড়ুন:মমতার নন্দীগ্রাম মামলা ছাড়লেন বিচারপতি চন্দ, তবে বসালেন জরিমানা

পাশাপাশি ওই সংস্থার দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর বড় বড় সংবাদমাধ্যমের মালিক শ্রেণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান নরেন্দ্র মোদি। যার ফলে দেশের বড় অংশের সংবাদমাধ্যমকে নিজের দিকে নিয়ে আসেন তিনি। যেখানে মোদি বিরোধী কোনও কিছুই প্রকাশে আনা হয় না। পাশাপাশি শাসক-বিরোধী কোন কিছু প্রকাশ্যে আনলে চাকরি হারাতে হতে পারে এই আশঙ্কায় শাসকদলের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে ভারতের একটি বড় সংখ্যক সংবাদমাধ্যম। উদাহরণস্বরূপ সাম্প্রতিক সময়ে গাজিয়াবাদে এক সংখ্যালঘু বৃদ্ধির ওপর হামলার সমালোচনা করায় একাধিক সংবাদমাধ্যম এমনকি টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার কথা তুলে আনা হয়েছে।

 

Previous articleডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে বাঁচতে ভারত সহ ৮টি দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি বাংলাদেশের
Next articleব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে সনাতন! চাঞ্চল্যকর তথ্য