গত বছরের দীর্ঘ লকডাউন। মাঝে কয়েক মাস রাস্তায় বাস নামলেও চলতি বছর ফের বিধি-নিষেধ। ভাড়া নিয়ে সরকার ও বাস মালিকদের মধ্যে দর কষাকষিতে এখনও রাস্তায় নামেনি বাস। এবার বাসের মধ্যেই চালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম রণজিৎ দাস। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকুরিয়া-হাওড়া ৩৭ নং রুটের একটি বাস থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি গড়িয়ার নয়াবাদে। রণজিৎ আত্মহত্যাই করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। উল্লেখ্য, আজ থেকেই পথে নামার কথা ছিল এই রুটের বাসের।
কিন্তু কেন আত্মঘাতী হলেন ওই বাস চালক? ওই স্ট্যান্ডের অন্যান্য বাস কর্মীরা জানান, অভাবের তাড়নায় এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন রণজিৎ। লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাস রাস্তায় না নামায় গত দু’মাস ধরে চিন্তায় ছিলেন। আর সংসার চালাতে পারছেন না বলে সহকর্মীদের জানিয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন-তারকেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক রচপাল সিংয়ের জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের পদাধিকারী তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় কমিশনের তরফে যে বেসরকারি বাসগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, তা বাবদ টাকা এখনও হাতে পাননি রণজিৎ দাস। সেই চিন্তায় আরও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি দিনের পর দিন লোকসান হওয়ায় বাস মালিকও বকেয়া বেতন দেননি বলে অভিযোগ করেন তপনবাবু।
