জীবিতকে ‘ডেথ’ সার্টিফিকেট, কাঠগড়ায় লেকটাউনের বেসরকারি হাসপাতাল

জীবিতের ডেথ সার্টিফিকেট এবং সেই সার্টিফিকেট দিল শহর কলকাতার লেকটাউনের এক নামী বেসরকারি হাসপাতাল।
কিন্তু কী করে তা সম্ভব হল ? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, হাওড়া ডোমজুড়ের সলপের বাসিন্দা উদয় শংকর চোঙদার বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার হৃদরোগের সমস্যা ছিল। তাঁকে প্রথমে ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাকে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। সেই অনুযায়ী লেকটাউনের এক বেসরকারি হাসপাতাল ড্যাফোডিলে গত ৫ জুলাই তাকে ভর্তি করা হয় ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে , তিনি দীর্ঘদিন হার্টের অসুখে ভুগছিলেন এবং তাদেরকে গতকাল ৭জুলাই বিকেলে হাসপাতাল থেকেই ফোন করে জানানো হয় যে রোগী মারা গেছেন। তড়িঘড়ি তারা হাসপাতালে হাজির হন মৃতদেহ নেওয়ার জন্য । কিন্তু তাদের ৬ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ মৃতের পুত্রের ।
এরপর সার্টিফিকেট হাতে দিয়ে তাদের যে দেহটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তুলে দেওয়া হয়, তাতে পরিজনরা দেখেন যে তাদের প্রিয় মানুষটি নয় অন্য একজনের মৃতদেহ তাদের দেওয়া হয়েছে ।এই ঘটনায় প্রথমে তারা হতবাক হয়ে যান। তারা প্রতিবাদ ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন ।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, টেলিফোন নম্বরের গোলযোগের জেরেই এই বিভ্রাট। কিন্তু পরিজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই সাফাই মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, এমন চূড়ান্ত গাফিলতির নিদর্শন রাখল যে হাসপাতাল সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা হবে? কেন একজন জীবিত মানুষকে মৃত বলে চালিয়ে দেওয়া হবে হাসপাতালের তরফ থেকে? তারা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন এবং এরই পাশাপাশি তারা চান, এই ঘটনা যেন অন্য কারও ক্ষেত্রে না ঘটে।

Previous articleগার্ডেনরিচ ‘গণধর্ষণ’ ও লুঠপাটকাণ্ডের তদন্তে এবার গঠন SIT
Next articleটানা বৃষ্টিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি ঝাড়গ্রামে, নদীর পার ভাঙছে তুফানগঞ্জে